সেবা ডেস্ক: এবার ইন্ডিয়ার তামিল নাডুতে দু’বন্ধুকে নিয়ে ইউটিউব দেখে সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করলেন স্বামী। সুস্থ কন্যাশিশুর জন্মও হলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে প্রসূতির।
ভারতের তামিলনাডুর তিরুপপুর জেলা পুলিশ জানায়, ক্রিথিকা নামের ওই নারীর মৃত্যু হয় গত ২২ জুলাই। তবে মঙ্গলবার জেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক থানায় অভিযোগ করলে বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্রিথিকার প্রসব বেদনা শুরু হলে তার স্বামী কার্থিকেয়ান বন্ধু প্রবীণ ও তার স্ত্রী লাবণ্যকে নিয়ে প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। ক্রিথিকার সুস্থ মেয়ে সন্তান হয়। কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ক্রিথিকা। পরে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
‘প্রবীণ ও তার স্ত্রী কার্থিকেয়ান ও ক্রিথিকাকে প্রাচীন প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসা নেয়ার প্ররোচনা দেন। এতে প্রভাবিত হয়ে ঘরেই সন্তান প্রসবের করানোর উদ্যোগ নেন কার্থিকেয়ান।’ বলেন, তিরুপপুরের নাল্লুর পুলিশ স্টেশনের একজন কর্মকর্তা।
গর্ভবতী থাকার পুরোটা সময় জুড়েও চিকিৎসকের কাছে যাননি এই দম্পতি। তাদের তিন বছর বয়সী আরেকটি সন্তান রয়েছে।
জেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক ভূপাথি বলেন, ‘চিকিৎসকদের কাছ থেকে আমরা ঘটনাটি জানতে পারি। পরে ক্রিথিকার বাবা সুব্রামানিয়ামের সহায়তায় তদন্ত শেষে কার্থিকেয়ান, প্রবীণ এবং লাবণ্য’র বিরুদ্ধে বাড়িতে প্রসব-চেষ্টার দায়ে থানায় অভিযোগ দিই।’
তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছে তিরুপপুর পুলিশ।
এ ঘটনায় জনগণকে সতর্ক করেছেন তামিল নাডুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সি ভিজয় ভাস্কর।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তামিলনাডুর সরকারি হাসপাতালগুলো ভাল মানের সেবা দেয়। ভবিষ্যতে কেউ বাড়িতে প্রসবের চেষ্টা করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’