সেবা ডেস্ক: এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে আছে এক সময়ের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
যার ফলে যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে আছে দলটি। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের নতুন ছক কষছে বিএনপি। আগামী বছরের শুরুতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামতে পরিকল্পনা করছে দলটির হাইকমান্ড। তবে এবার তারা কোনো ভুল করতে চান না। ২০১৫ সালের মতো ‘পরিকল্পনাহীন’ সহিংস আন্দোলনের বদলে এবার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই সহিংস আন্দোলনে মাঠে নামবে বিএনপি।
দলের নেতারা বলেছেন, বিগত আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রথমেই অল আউট আন্দোলনে না গিয়ে ধীরে ধীরে আন্দোলনকে বেগবান করতে চান তারা।
যেকোনো দেশের সরকারের জন্য এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে প্রশাসন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে প্রশাসন।
একটা দেশের প্রশাসনের কর্মদক্ষতা এবং একাগ্রতার উপর নির্ভর করে ওই দেশের সার্বিক উন্নয়ন। যেকোন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ওই সরকারের প্রশাসনকে দুর্বল করে ফেলা কিংবা অন্য কোনো উপায়ে তাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
বিএনপি তাদের নাশকতার তৈরির ধারাবাহিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবার আক্রমণের লক্ষ্য বস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের।
প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার উপর হামলা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় বিএনপি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি কঠোর আন্দোলনে নেমে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের কিছু লোকের উপর হামলা করে তাদের হতাহত করার মধ্য দিয়ে সরকারকে বিব্রত করতে চায়, পাশাপাশি এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে সারা দেশে কঠোর সহিংস আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করার পাঁয়তারা করছে।
জানা গেছে, কোনো কোনো মহল থেকে বিএনপির হাইকমান্ডকে সরকার পতনের আন্দোলন এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদার মুক্তি আন্দোলন চলতি মাস থেকেই কঠোর ভাবে শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
তবে তাতে আগ্রহ দেখায়নি হাইকমান্ড। কারণ প্রস্তুতি ও মোক্ষম সময় বিবেচনা না করে আন্দোলনে নামার পক্ষে নন তারা।
এদিকে প্রশাসনের উপর বিএনপির এমন হামলা করার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে বিএনপির প্রতি নিন্দার ঝড় বইছে।