সেবা ডেস্ক: গত এপ্রিল মাসে সরকারী চাকুরীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের টানা এক সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন চলার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দাবি মেনে নিয়ে সরকারি চাকুরী থেকে কোটা প্রথা বাতিলের ঘোষণা দেন। সে সময় আন্দোলনকারীরা খুশি মনে আন্দোলন বন্ধ ঘোষণা করে ক্লাসে ফিরে গেলেও আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে অর্থ অর্জনের পাঁয়তারা শুরু করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খাঁন আন্দোলনকে জিইয়ে রাখতে বিএনপি নেতা রিজভীর কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। আর কোটা আন্দোলনের পিছন দিক থেকে বিএনপির কর্মীরাও সরাসরি সম্পৃক্ত থাকছেন বলেও জানান রাশেদ খাঁন।
জানা যায়, সরকারি চাকরির কোটার ক্ষেত্রে কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল বহু দিনের। এসব শিক্ষার্থীদের মতে, কোটার ফলে দেশের মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না।
এজন্য তারা একত্রিত হন কোটা সংস্কারের জন্য। তারা বেশ কয়েকদিন ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথ অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই রাজপথ অবরোধের জন্য সাধারণ জনগণ এবং শিক্ষার্থী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
তাদের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সরকারি চাকরি থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সিদ্ধান্তে ইতিবাচক সাড়া দেয় দেশের ছাত্র সমাজ। তারা পুনরায় তাদের ক্লাসে ফিরে যায় ।
সাধুবাদ জানান শেখ হাসিনার এই অভিনব সিদ্ধান্তে। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কিন্তু বিএনপি এই স্বচ্ছ সিদ্ধান্তকে বার বার প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা-কর্মীদের ইন্ধনে কিছু শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্র শিবির ও ছাত্রদল সমর্থিত শিক্ষার্থীরা আবার রাজপথে নেমে আসে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইশারায় শুরু হয় আবার বিশৃঙ্খলতা। বর্তমানে কোটা আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে বিএনপি। বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা রাখতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে তারা এই ভিত্তিহীন কর্মকাণ্ড করছে।
কোটা আন্দোলনের নামে তারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলছে। বিএনপি মনে করছে, কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে নিজ দলের নিস্ক্রীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে পারবে দলটি।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, সম্প্রতি নুরুল্লাহ নূর নামে এক প্রাক্তন সক্রিয় শিবির কর্মীর মাধ্যমে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপির ভিত্তিহীন আন্দোলন।
মোট কথা, বিএনপির বর্তমান সব নেতাকর্মীরা আছে তাদের নিজ নিজ আখের গুছানোর ধান্দায়। মাঠ চাঙ্গা করার মতো কোনো নেতাকর্মীরা নেই বললেই চলে। তাই তারা শিবির, ছাত্রদলের মাধ্যমে ভিত্তিহীন কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে বারবার অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
নষ্ট করছে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পরিবেশ।