সেবা ডেস্ক: আষাঢ়ের খরস্রোতা থাকা সত্বেও পদ্মার বুকে এগিয়ে চলছে দেশের বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতুর কাজ। বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন ও অগ্রগতির বার্তা নিয়ে আষাঢ়ের নবযৌবনা পদ্মার বুকে স্থাপিত হলো পদ্মা সেতুর পঞ্চম স্প্যান। এই স্প্যান বসানোর মাধ্যমে জাজিরা সীমান্ত স্পর্শ করছে পদ্মা সেতু। এই স্প্যানটি জাজিরা সীমান্তের শেষ স্প্যান।
নদীর দক্ষিণ প্রান্তে ৪১ ও ৪২ নম্বর খুঁটির ওপর ১৫০ মিটার দীর্ঘ পঞ্চম স্প্যানটি বসানো হয়। এই স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে ৭৫০ মিটার অর্থাৎ পোনে এক কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু। আষাঢ়ের এই টইটুম্বুর পদ্মায় থেমে নেই নির্মাণ কাজ। অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই ভরা বর্ষার মৌসুমেও কাজ করে যাচ্ছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সর্বপ্রথম দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর এ বছরের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। এরপর ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হলে সেতুর ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।
দ্বিতল বিশিষ্ট এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনে আসবে আধুনিকতার ছোঁয়া। ব্যবসা বাণিজ্যে হবে অগ্রগতি। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু অচিরেই দৃশ্যমান হয়ে দেশবাসীর দীর্ঘ দিনের আশা আকাঙ্খা পূরণ হবে। যখন বিশ্ব ব্যাংক অর্থ সহযোগিতায় অপারগতা প্রকাশ করে তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় দেশের নিজস্ব অর্থায়নে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা বাংলাদেশ। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে রূপান্তর হবে একটি উন্নত বাংলাদেশ।