সেবা ডেস্ক: রাত পোহালেই ৩০ জুলাই। সকাল থেকেই শুরু রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৮ এর ভোট গ্রহন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ১৪ দলের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী লিটনের উন্নয়ন ভোটারদের মুখে মুখে।
গত ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নগরপিতা ছিলেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আর তার নগরপিতা থাকাকালীন সময়ে বদলে যায় রাজশাহী শহরের রুপ-রেখা। পাঁচ বছরে একটি ক্লিন সিটিতে রুপান্তর করেন রাজশাহীকে। দৃশ্যপট বদলে দেন পদ্মাপাড়ের। নির্মাণ করেন লালন শাহ মঞ্চ। বদলে যায় সাহেব বাজার বড় মসজিদের চিত্র। বিনোদনের জন্য নতুন রুপ পায় রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানা ও উদ্যান। নির্মাণ করা হয় বড় বড় রাস্তা, ড্রেন ও কালভার্ট এবং ফুটপাত। বিশুদ্ধ পানি সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠা করেন ওয়াসা। নগরে প্রতিষ্ঠা করেন শিশু হাসপাতাল। পাঁচ বছরের তিনি সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ নিয়ে এনে নগর উন্নয়নে কাজ করেন।
এছাড়াও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকেট পার্ক, বিকেএসপি, অর্থনৈতিক জোন নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন খায়রুজ্জামান লিটন। তাই এবারের নির্বাচনে ‘চলো আবারো বদলে দেই রাজশাহী’ স্লোগানকে সামনে রেখে ভোটের মাঠে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তাদের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাধারণ ভোটাররা। নিজের অবস্থান থেকেই তারাও নগর বদলে দেয়ার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।
ফলশ্রুতিতে আগামী ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে লিটন নগরপিতা হতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।
-