সেবা ডেস্ক: আগামীকাল ৩০ তারিখের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সকল প্রার্থীরা। তাই প্রচার প্রচারণার শেষ মুহূর্তে এসে ভোটারদের সমর্থন পেতে বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ধারণা করা হচ্ছে ভোটের হিসেবে এবারের রাসিক নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিএনপি থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পরপরই ব্যাপক প্রচারণায় নামে উল্লেখিত প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লিটন তার নির্বাচনী প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালিয়ে গেলেও, নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচার প্রচারণা থেকে নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন বুলবুল। নির্বাচনী প্রচারণায় বুলবুলের হঠাৎ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াতে রাজশাহী নগরীর রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরণের কথা ভেসে বেড়াচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুলবুলের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বরাত দিয়ে জানা যায় অনুষ্ঠেয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিজের প্রায় নিশ্চিত পরাজয় আন্দাজ করতে পেরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। আরো জানা যায় রাসিকের মেয়র পদ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বুলবুল এখন রাজশাহী-৩ আসনের এমপি হওয়ার পাঁয়তারা করছেন। প্রসঙ্গত, উক্ত আসন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের দ্বন্দ্ব চলে আসছে অনেকদিন ধরে। এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জামায়াতের পক্ষ থেকে বুলবুলকে সমর্থন না দেয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে এই দ্বন্দ্ব। জামায়াত বুলবুলকে সমর্থনের বিনিময়ে উক্ত আসন বিএনপির কাছে দাবি করলে অস্বীকৃতি জানায় বিএনপি। কারণ রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য অনেকদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক মিলন।
জামায়াতের পর এবার বুলবুল এই আসনের মনোনয়ন চাওয়ার খবর প্রচার হওয়াতে রাজশাহীতে ২০ দলীয় জোটের রাজনীতি নতুন মোড় নিয়েছে। বুলবুলের এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ শরিফুল হক মিলন সহ তার অনুসারীরা।
এখন দেখার অপেক্ষা শেষ পর্যন্ত রাজশাহীর ২০ দলীয় জোটের রাজনীতি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং রাজশাহী-৩ আসনের মনোনয়নকে ঘিরে কোন দিকে মোড় নেয়।