সেবা ডেস্ক: আগামীকাল ৩০ জুলাই সোমবার। রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৮। ভোট আনন্দে মেতে উঠার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রাজশাহী নগরবাসী। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নগরবাসী বেছে নিবেন তাদের কাঙ্খিত নগরপিতা। এমনটাই প্রত্যাশা রাজশাহী নগরবাসীর।
এদিকে ৩০ তারিখের অনুষ্ঠেয় রাসিক নির্বাচনে জনসমর্থন না পেয়ে নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া হয়ে শেষ অস্ত্র হিসেবে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার ও কালো টাকা ছড়িয়ে ভোটের ফলাফল নিজের পক্ষে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী বুলবুল।
রাসিক নির্বাচনে বুলবুলের অপপ্রচার:
এদিকে ৩০ তারিখের অনুষ্ঠেয় রাসিক নির্বাচনে জনসমর্থন না পেয়ে নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া হয়ে শেষ অস্ত্র হিসেবে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার ও কালো টাকা ছড়িয়ে ভোটের ফলাফল নিজের পক্ষে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী বুলবুল।
রাসিক নির্বাচনে বুলবুলের অপপ্রচার:
- এজেন্ট ও নেতাকর্মী গ্রেফতারের অভিযোগ বুলবুলের
বাস্তবতা: বুলবুলের সাথে কর্মীদের বৈরী সম্পর্কের কারণে অধিকাংশ নেতাকর্মী বুলবুলের এজেন্ট হতে রাজি হচ্ছেন না।
- বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করে পার্ক করবেন লিটন- বুলবুল
বাস্তবতা: লিটন মেয়র নির্বাচিত হন বা না হন বস্তিবাসীদের উচ্ছেদের কোনো কার্যক্রম শুরু হলে তা সবার আগে প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লিটন।
- গাজীপুর-খুলনার মতো ৩ সিটিতে ভোট ডাকাতির আশঙ্কা
বাস্তবতা: উক্ত দুই সিটির নির্বাচনে নিজেদের শোচনীয় পরাজয়ের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই অভিযোগ।
- আগামীকাল কাফনের কাপড় পরে ভোটকেন্দ্রে যাব: বুলবুল
বাস্তবতা: নগরীতে আতঙ্ক তৈরী করতেই এমন সিদ্ধান্ত বুলবুলের, তাছাড়া কাফনের কাপড় ব্যবহারের নামে ভোটারদের সিমপ্যাথি আদায় করতে চান বুলবুল।
- নির্বাচনে ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্র চলছে: বুলবুল
বাস্তবতা: নিজের নিশ্চিত পরাজয় নিশ্চিত জেনে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন অভিযোগ
- অতিরিক্ত ব্যালট আনা হচ্ছে: বুলবুল
বাস্তবতা: নিজেরা নৌকার সিলযুক্ত নকল ব্যালট তৈরী করে নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছেন বুলবুল
- টার্গেটে এবার বিএনপির পোলিং এজেন্ট
বাস্তবতা: পর্যাপ্ত কর্মী সমর্থক না থাকায় প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য পোলিং এজেন্ট দেয়ার মতো লোক পাচ্ছেন না বুলবুল
- রাজশাহীতে ১০টি কালো মাইক্রোবাস ঘুরছে নৌকায় সিল মারা ব্যালট নিয়ে
বাস্তবতা: নিজেদের নেতাকর্মী দিয়ে নৌকার সিলযুক্ত নকল ব্যালট তৈরী করে, এসবের ছবি তুলে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছেন বুলবুল। কিন্তু নগরবাসী ও সেখানে নিয়োজিত সংবাদকর্মী কেউই সেরকম কিছু দেখেননি বলে জানান। পাশাপাশি নিজস্ব সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে অভিযোগটি গুজব ছাড়া কিছুই নয়।
- মোবাইল ট্র্যাকিং নিয়ে আতঙ্কে বিএনপি
বাস্তবতা: ভোটারদের বিকাশ নাম্বার সংগ্রহ করে ভোট কেনার জন্য তাদের একাউন্টে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করছেন বুলবুল ও তার কর্মী সমর্থকরা।
- বিএনপি শূণ্য রাখতে মামলার জালে ফেলে গ্রেপ্তার
বাস্তবতা: আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাদক সহ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করেছে যার অধিকাংশই বিএনপির নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনকে ঘিরে কাউকে হয়রানি না করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।জন সমর্থন না পেয়ে নির্বাচনে জয় পেতে ভোট বাণিজ্যের জন্য বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ছড়ানোর পাঁয়তারা করছেন বুলবুল। এরই মধ্যে তারেক জিয়ার মাধ্যমে বিএনপির ডোনার আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এম এ মালেক সহ অনেকের কাছে থেকে বিপুল অংকের টাকা সংগ্রহ করেছেন বুলবুল। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার বুলবুলের ওয়ান ব্যাংকের একাউন্টে ৭০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিএনপি নেতা হাজী আমিনুল ইসলাম। এসব টাকা ভোটারদের কাছে বিলি করার জন্য বিকাশ ও রকেট একাউন্টকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বুলবুলের কর্মী সমর্থকরা। ইতোমধ্যেই বুলবুলের নির্দেশে নগরীর অসংখ্য ভোটারের বিকাশ ও রকেট একাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করেছে তার কর্মী সমর্থকরা।