সেবা ডেস্ক: রাসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বুলবুল গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার শুরুর দিন থেকে নানা রকম নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে চলেছেন এই প্রার্থী। যদিও তিনি ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র। একজন সদ্য বিদায়ী মেয়রের প্রতি এলাকাবাসীর বাড়তি আবেগ কাজ করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বুলবুলের সাথে ঘটেছে ঠিক এর বিপরীত।
গত বেশ কয়েক দিন নির্বাচনী গণসংযোগের পর এলাকার ভোটারদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বুঝতে পারা যায় যে একজন প্রার্থীর অবস্থান কোথায়। ঠিক সেটাই বুঝতে পেরেছিলেন বুলবুল। নির্বাচনে জনগণের সাড়া না পাওয়ার প্রধান কারণ গত মেয়াদে তার এলাকাবাসী বা নগরীর প্রতি তার উদাসীন মনোভাব। তিনি গত মেয়াদে মগ্ন ছিলেন নিজের আখের গুছানোর জন্য। বুলবুলের ২০১৩ তে বিজয়ী হওয়ার পর নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে পরে। এর জন্য তিনি অর্ধেকের বেশি সময় পার করেছিলেন কারাগারে। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও ইশতেহার সীমাবদ্ধ থেকে যায় শুধুমাত্র ঘোষণার মধ্যে।
এজন্য রাজশাহীবাসী ২০১৮ সালের নির্বাচনে বুলবুলের ওপর অনেকটা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাছাড়া কর্মীসমর্থক ও জনসমর্থন না পেয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়ে যান বুলবুল। এজন্য তিনি বেছে নিলেন গুজব ও মিথ্যাচারের পথ।
প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করার জন্য নিজেদের পথসভায় তিনি ককটেল বিস্ফোরণ করেছেন। শুধু তাই নয় নিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে প্রতিপক্ষকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তার এসব গুজব, মিথ্যাচার, নাটকের মাধ্যমে তিনি ভোটারদের বোকা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোটের আশায় তিনি এসব গুজব ছড়াচ্ছেন। তবে নগরবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা এবার সকল ধরণের অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছেন।