কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী মূল নেতাদের সরিয়ে আন্দোলনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নতুন রাজনীতিতে নেমে পেড়েছে বিএনপি-জামায়াত। কোটা সংস্কার আন্দোলনে এবার বিএনপি নেতা রিজভীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের কাছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খাঁন বিএনপি নেতা রিজভীর কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন করেছেন বলে ইতোমধ্যেই স্বীকার করেছেন। অপরদিকে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের পক্ষে রিজভীর উসকানিমূলক বক্তব্য এই আন্দোলনকে রাজনীতিকরণ করেছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে অর্থ অর্জনের পাঁয়তারা শুরু করে।তাদের এই অসৎ উদ্দেশ্যকে দুহাতে লুফে নেয় জনসমর্থন হারিয়ে ফেলা বিএনপি ও জামায়াত। ।বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরাসরি ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনের সাথে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন করেন যাতে এই ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করানো যায়।
এ গোপন লেনদেনের বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিব ফেসবুক লাইভে এসে সব ফাঁস করে দেন। জানা যায়, টাকার ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা হওয়ায় আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক রাজিব বিএনপি নেতা রিজভীর সাথে লেনদেনের সব ঘটনা প্রকাশ করে দেয়।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক রাজিবের সূত্রে জানা যায়, কোটা আন্দোলন প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলন ছিল।কিন্তু বর্তমানে কোটা ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে আবারো রাজপথ অবরোধ করার শর্তে বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের ২৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা গত মঙ্গলবার কোটা আন্দোলনের আহবায়ক হাসান আল মামুন এর ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়। এই খবর জানার পর আন্দোলনের যুগ্ন আহবায়ক নুরুল হক নুরু, রাশেদ খাঁন এবং ফারুক হাসান তাদের প্রাপ্য অংশ তাদের বুঝিয়ে দিতে হাসান আল মামুনকে অনুরোধ জানায়। তখন মামুন তাদেরকে ৩০ জুন, শনিবার তাদের ভাগের টাকা দিয়ে দিবে বলে জানায়। সবাই টাকা বুঝে পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলন নিয়ে আবারো ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু তার আগেই রাশেদ খাঁন এবং ফারুক হাসান নিজেদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে।
সূত্রমতে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের একাধিকবার টাকা বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেও বিবাদ দূর করতে ব্যর্থ হন।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী শাহবাগ থানায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা এক মামলায় রাশেদ খাঁনকে গ্রেফতার করা হয়। রাশেদ খান ইতোমধ্যেই আন্দোলনকে উসকে দেয়ার জন্য রিজভীর অর্থ সহযোগীতার কথা স্বীকার করেছেন।