দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত রাজশাহী বিএনপি। বিভক্ত বিএনপি নেতাদের কারণে রাজশাহীতে কোনো কর্মসূচি পালন হচ্ছে না। সম্প্রতি মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে দলীয় মেয়রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন তারেক রহমান। তারেক রহমান টাকার বিনিময়ে বুলবুলের মতো বিতর্কিত নেতাকে মেয়রপ্রার্থী করায় তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। জানা গেছে, রাজশাহীতে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে ভোট দিবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত জেলাগুলোর মধ্যে রাজশাহী অন্যতম। সেখানে বিএনপিতে বর্তমানে আটটি গ্রুপ রয়েছে। দিনে দিনে এই দ্বন্দ্ব প্রকট রুপ ধারণ করেছে। মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের খারাপ ব্যবহার আর নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে না থাকার ঘটনাগুলোর জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীরা তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন।
সূত্রমতে, তৃণমূল কর্মীরা মনে করেন বিএনপিকে বিভক্ত করার জন্য বুলবুলের একগুয়েমী দায়ী। বুলবুলের উচ্ছৃঙ্খলতা, দলীয় কর্মীদের অবমূল্যায়ন ও নিজেদের মধ্যে অবৈধ উপার্জনের ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সাথে সম্পর্ক কখনোই ভালো ছিল না। বুলবুলের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য নেতাকর্মীরা আট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হকের সাথে বুলবুলের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের খেসারত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দেওয়া লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন বিএনপির একাধিক নেতা।
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, রাজশাহীতে দলীয় চাপের মুখে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও দলীয় অন্তঃকোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। অভিযোগ আছে, ২০১৪ সালে অসংখ্য মামলা দিয়ে পুলিশ তৃণমূল কর্মীদের হয়রানি করে। ঘর বাড়ি ছাড়া এসব নেতাকর্মীদের বিপদে কখনোই পাশে দাঁড়াননি মেয়র বুলবুল।
এ কারণে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকর্মীরা বুলবুলকে এবার মেয়র পদে ভোট দিবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বরং আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটন বিএনপির দরিদ্র কর্মীদের নিয়মিত যাকাত, ফেতরা দিয়ে সাহায্য করে আসছেন। মেয়র প্রার্থী লিটনের কাছে বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা সাহায্যের জন্য গেলেও সব সময় সহযোগীতা পেয়েছেন বলেই জানা যায়। বিরোধী মতাদর্শের মানুষদের বিপদেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটন সব সময় পাশে থেকে তাদের মন জয় করেছেন বলেই বিরোধী কর্মীরাও তাকেই রাসিকের মেয়র হিসেবে দেখতে চাইছেন।