সেবা ডেস্ক: আবারও আদালত অবমাননা করে বিচার ব্যবস্থার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করলেন স্বদেশ বিরোধী শক্তিদের এজেন্ট ও বাংলাদেশের বিপক্ষে চক্রান্তকারী পত্রিকা আমার দেশ এর বিতর্কিত সম্পাদক মাহমুদুর।
২২ জুলাই মানহানীর একটি মামলায় কুষ্টিয়ার জেলা আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে পুনরায় আদালত অবমাননা করেন মাহমুদুর রহমান। এজলাসে বসে মোবাইলে ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি আইন ভঙ্গ করেন তিনি। এসময় তাকে বাধা দিলেও তিনি বাধা এড়িয়ে লাইভ চালিয়ে যান। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ফেসবুক লাইভে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেন। সরকারকে অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ বলেও সরকার বিরোধী মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া বর্তমান সরকারকে ভারতের দালাল রাষ্ট্র হিসেবে মন্তব্য করেন। মাহমুদুর রহমানের এই বক্তব্য সরাসরি দেশের আইন ও সংবিধান বিরোধী। শুধু আদালত অবমাননা ও সরকারের বিরুদ্ধে বেআইনী কথাই বলেননি তিনি, বরং আদলত চত্বরে ভাড়া করা বিএনপি-জামায়াতের কর্মী সেট করে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে ছাত্রলীগকে বদনাম করার চক্রান্তও করেন মাহমুদুর রহমান। এছাড়া ভিডিও বার্তায় তিনি বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে সরকারি দলের লোক বলেও অপপ্রচার চালান।
মাহমুদুর রহমানের আদালত অবমাননার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বলেন, মাহমুদুর রহমান ক্রমাগতভাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। কুষ্টিয়ার আদালতে বসে তিনি ফেসবুক লাইভ করে আদালত অবমাননা করেছেন। তার ঔদ্ধত্য দেখে বিস্মিত হয়েছি। একজন অপরাধী ও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাকারীর পক্ষেই এগুলো করা সম্ভব। তিনি লাইভে এসে দেশ বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তার উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।
ঢাবি অধ্যাপক আরো বলেন, মূলত, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও চলমান বিকাশে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানে ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং পাকিস্তানের সরাসরি মদদে অপ্রপচার ও হিংস্বার বাণী ছড়াচ্ছেন মাহমুদুর রহমান। চুরি-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং আদালত অবমাননার জন্য একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে বেকায়দায় ফেলতে এবং বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করতে অনেক আগে থেকে বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন মাহমুদুর রহমান। কুষ্টিয়ার আদালত পাড়ায় ফেসবুক লাইভে এসে অনাগরিক সুলভ আচরণ করে নিজের অসৎ উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেছেন তিনি।
-