দেশের ভিতর শান্ত সবুজ গাছের ছায়া ঢাকা একটি শহর রাজশাহী। আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন । চরম ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছেন প্রার্থী ও কর্মীরা।
এবারের রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী পাঁচ জন। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রকৃত লড়াই হবে আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এর মধ্যে।
নির্মল, দুষণমুক্ত শহর হিসেবে রাজশাহীর পরিচিতি ছিল এক সময়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য রাজশাহীর সে সুনাম এখন আর নেই। নষ্ট হয়ে গেছে অনেক পর্যটন কেন্দ্র। এ কারণে কমে গেছে পর্যটকের আনাগোনা ।
লিটনের নির্বাচনী প্রচারণায় রাজশাহীকে একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্য্য আবার ফিরিয়ে আনা, শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার উন্নয়ন, সাইকেল লেনসহ নান্দনিক ফুটপাত, ঐতিহ্যবাহী মট, পুকুর, লেক, দুষণমুক্ত শহর, ময়লা আবর্জনা সংরক্ষণে ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ, স্লাটার হাউজ স্থাপন সহ পর্যটন বান্ধব নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রমের আশ্বাস দিয়েছেন সাবেক সফল মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
২০০৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হয়ে রাজশাহীকে একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে পদ্মার পাড়কে আধুনিক ভাবে বিনোদন স্পট হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন, রাতের বেলায় লাল নীল লাইটে চমৎকার এক পরিবেশের ব্যবস্থা করে বিনোদন স্পট হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। যার দরুণ ঐ এলাকাবাসীর ব্যবসাসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছিল।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে বুলবুল মেয়র হলে নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত থাকায় রাজশাহীর পর্যটন স্থান গুলো জৌলুস হারাতে থাকে। এর ফলে পর্যটক আনাগোনা কমে যায়।
নগর বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, লিটন মেয়র নির্বাচিত হলে রাজশাহীর উন্নয়ন সাধন করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে । এরফলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ঘটবে একই সাথে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হবে যা রাজশাহীর অর্থনীতিতে প্রভাব রাখবে।