নেতা-কর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড অ্যালেক্স কারলাইলকে দিল্লিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে ভারত সরকারের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করতে তাকে দিল্লির বিশেষ মিশনে পাঠাচ্ছেন লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান।
সূত্রের খবরে জানা যায়, আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় নেতা-কর্মীদের উপর চরম ক্ষেপেছেন তারেক রহমান। সামান্য একটি কাজে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় একাধিকবার লন্ডন থেকে ফোন করে মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর চন্দ্র, মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাসদের মত সিনিয়র নেতাদের তিরষ্কার করেন তারেক রহমান।
দেশে বসে বসে সরকারের উন্নয়নে গা ভাসিয়ে দিয়ে বিএনপির জন্য শুধু দেআ মাহফিল করার জন্য নেতাদের ইচ্ছামত গালমন্দ করেন তারেক। খালেদা জিয়াকে ভুলে গিয়ে দলের কাণ্ডারি সাজার স্বপ্ন দেখতে মানা করে কড়া ভাষায় সিনিয়র নেতাদের সমালোচনা করেন তারেক। বিশেষ করে মির্জা ফখরুলকে মেরুদণ্ডহীন ইতর প্রাণীবিশেষ বলেও গালি দিয়েছেন তারেক রহমান। শুধু বসে বসে নালিশ করার জন্যও মির্জা ফখরুলকে একহাত নেন তারেক। নেতা-কর্মীদের উপর বিরক্ত হয়েই এবার প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সহায়তায় বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য লর্ড কারলাইলকে নিয়োগ দিয়ে বিশেষ মিশনে দিল্লি পাঠাচ্ছেন তারেক।
লন্ডন বিএনপির একটি সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমান উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আন্দোলন করিয়ে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। কারণ আন্দোলন করার জন্য নেতা-কর্মীদের সাহস ও যোগ্যতা কোনটাই নেই। নেতারা পিঠের চামড়া বাঁচাতে ব্যস্ত। কিছু কিছু নেতা আবার সরকারের সাথে সুসম্পর্ক রেখে রাজনীতি করছেন।
মুখে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেও তারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার পক্ষে নন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজনীতি করতে তারা রাজি নন। তাই নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়েই এবার ভারত সরকারের সাহায্যে মুক্ত করার জন্য কারলাইলকে পাঠাচ্ছেন তারেক রহমান। এজন্য ভারত সরকারকে সব ধরনের ছাড় দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারেক। কারলাইলের মাধ্যমে তারেক ভারত সরকারকে কনভিন্স করতে চান।
ভারত সরকার সাহায্য করলে আগামী নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গ বাদ দিবে বিএনপি। সেভেন সিস্টারস নিয়ে মাথা ঘামাবে না বিএনপি। ভারতের কোন সন্ত্রাসীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবে না বিএনপি। নির্বাচনে জয়ী হলে বাংলাদেশে ব্যবসারত ভারতীয়দের কাছে পারসেনটেন্স কমিয়ে মাত্র ৫ ভাগ করবেন তারেক।
এছাড়া বাংলাদেশের যত বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ হবে, সবগুলো ভারতীয় কোম্পানীদের পাইয়ে দেওয়ারও অঙ্গিকার করেছেন তারেক। ভারত থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ, পণ্য সমাগ্রি, ডিজেল, পাথর ও অন্যান্য সামগ্রি কেনারও ওয়াদা করেছেন তারেক। বিনিময়ে শুধু চাপ সৃষ্টি করে, আলোচনা করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে যেকোনভাবেই জয়ী করে দেশ শাসন করার দায়িত্ব তুলে দিতে হবে।