বিএনপির মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল অবশেষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন । রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মোট পাঁচ প্রার্থী মেয়র পদে লড়ছেন। রাসিক নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা শুরু হয় ১০ জুলাই। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ঐ দিনই ইশতেহার ঘোষণা করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দেন। বিএনপির বুলবুল ছাড়া বাকি তিন মেয়র প্রার্থী ১০ তারিখের পর পরই ইশতেহার ঘোষণা করেন। বাকি ছিল বিএনপির বুলবুল। অবশেষ তিনি নির্বাচনের ছয় দিন আগে ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন। যার ৭টিই পুরান অর্থাৎ ২০১৩ সালের ইশতেহার। ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ইশতেহার ও প্রতিশ্রুতি তিনি বাস্তবায়ন করেননি।
বুলবুলের ইশতেহারের তিন দফা এসেছে আন্দোলন থেকে। নির্বাচনী ইশতেহারে আন্দোলনের ঘোষণায় নগরবাসী অনেকটা সন্দিহান হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় গত মেয়াদে তিনি উন্নয়নমূলক কোনো কাজ করেননি। উল্টো হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। যদিও এবারের ইশতেহারে তিনি বলেছেন হোল্ডিং ট্যাক্স কমাবেন। এতে করে নগরবাসীর মনে প্রশ্ন উঠছে তিনি কি আদৌ ট্যাক্স কমাবেন নাকি গত মেয়াদের মতো শুধু ইশতেহার ঘোষণার ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকবেন।
২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নানা রকম অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার জন্য কারাগারে থাকতে হয় বুলবুলকে। এতে করে জনগণের বিশ্বাস ভেঙে যায়। এবারের ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করার পরও নগরীর ভোটারদের উপর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তার কারণ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার শেষ মুহূর্তে তিনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে অন্যান্য নেতাকর্মীরা ভোটারদের মন জয় করেছে। তাই বুলবুল তার ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করার পরও নগরবাসীর তার ওপর পুরনো বিশ্বাস আর ফিরে আসবে না। নগরবাসী ২০১৮ তে সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ব্যাক্তিকেই তাদের নগরপিতা হিসেবে জয়যুক্ত করবেন।