রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ৩০ শে জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । একজন আদর্শ ও পরিপূর্ণ নগর পিতার অভাব পূর্ণ করতে রাজশাহী নগরীর সর্বস্তরের জনগণ বদ্ধপরিকর। উন্নয়নের পালে যে হাওয়া লাগাতে পারবে তাকেই নির্বাচনে জয়ী করতে রাজশাহীবাসী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এ নগর পিতার গুরু দায়িত্ব পেতে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট মনোনীত প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লড়ছেন।
১০ জুলাই প্রতীক পাবার পর থেকেই পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। নির্বাচনী প্রচারণায় নামfর পূর্বেই খায়রুজ্জামান লিটন সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দফার ৮২টি প্রতিশ্রুতির নির্বাচনী ইশতেহার পেশ করেন। অপরদিকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ নির্বাচনের অল্প কিছুদিন বাকি থাকতে নির্বাচনী ইশতেহার পেশ করেছেন। তবে তা জনবান্ধব ইশতেহার না হয়ে আন্দোলনের ইশতেহার বলে মনে করেন রাসিকবাসী।
নিজ নির্বাচনী ইশতেহারে লিটন রাজশাহী শহরের উন্নয়নে তার পরিকল্পনা সমূহ তুলে ধরেন। যুবসমাজের জন্য ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, যানজট কমানো, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতিসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া নগরীর আবাসন সমস্যা নিরসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনসহ, চিরচেনা রাজশাহী নগরীকে তার সবুজের সমারোহ ফিরিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন নির্বাচনী ইশতেহারে। তার এ সময় উপযোগী মহা পরিকল্পনা সমূহ রাজশাহীবাসীর স্বপ্নের নগরী ফিরে পাবার জন্যে আশা জাগানিয়া হিসেবে কাজ করছে।
লিটনের সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনার বিপরীতে বুলবুল জনবান্ধব ইশতেহার পেশ করতে না পারায় সচেতন নাগরিকদের সমর্থন বঞ্চিত হচ্ছেন বুলবুল। ২০১৩ সালের মতো বোকা বনতে রাজি নন তারা।
২০১৩ সালের নির্বাচনে ২০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন বুলবুল। সে নির্বাচনে তিনি জিতেন। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০ দফা ইশতেহারের তেমন কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেননি বুলবুল।