হুমকির পথ বেছে নিয়েছে বুলবুল জনসমর্থন হারিয়ে

Seba Hot News

হুমকির পথ বেছে নিয়েছে বুলবুল জনসমর্থন হারিয়ে
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্তমানে দেশ কিংবা রাজনৈতিক অঙ্গনে সব থেকে আলোচিত বিষয়  দরজায় কড়া নাড়ছে নির্বাচন। আর কিছুদিন পর রাজশাহীবাসী তাদের ভোটের মাধ্যমে পেয়ে যাবে তাদের নগরপিতাকে। ইতোমধ্যে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন। এই গণসংযোগে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন মহাজোটের প্রার্থীরা। বুলবুল সদ্য বিদায়ী মেয়র হওয়া স্বত্বেও জনগণের কাছ থেকে আশাব্যাঞ্জক সাড়া পাচ্ছেন না।
২০১৩ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বুলবুলের আসল রূপ দেখতে পায় রাজশাহীবাসী। ইশতেহারের বদলে তিনি নগরবাসীকে ধোঁকা দেয়ার ফন্দি সাজিয়ে ছিলেন। তার ইশতেহারের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল পাওয়া যায়নি সরেজমিনে নগরবাসী চাননা তাদের নগরপিতা উন্নয়নের নামে তাদের ধোঁকা দিক। মেয়র হয়ে নগর ও নাগরিকের পাশে না থেকে অপরাধের দায়ে কারাগারে থাকুক তারা তা চায় না। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের জনসমর্থন তুলনামূলকভাবে কম।
২০১৮ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার জন্য বুলবুল এতদিন ইশতেহার ঘোষণা করেননি। শেষ মুহূর্তে তিনি আন্দোলনমূলক একটি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। যেখানে নগরীর উন্নয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। বুলবুল জনসমর্থন না পেয়ে এখন অনেকটা হতাশ ও বিকারগ্রস্থ। যদিও তিনি বর্তমানে যেই পরিস্থিতিতে রয়েছেন সবই তার গত পাঁচ বছরের কর্মফল। প্রাচীনকাল থেকে একটি কথা প্রচলিত – মানুষের কর্মফল তার নিজের কাছেই ফিরে আসে। বুলবুলের মেয়র থাকাকালীন সময়ে যে সব অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন, উন্নয়নমূলক কাজ থেকে বিরত ছিলেন তার কর্মফল স্বরূপ  এবারের নির্বাচনে তার জনসমর্থন কম। জনসমর্থন না পেয়ে তিনি ফের বেছে নিয়েছেন হুমকি, হামলার পথ।
বুলবুলের কিছু কর্মী নগরীর ১১নং ওয়ার্ডে  লিটনের প্রচারণার মাইকিং এ হামলা চালায়। এতে করে  মাইকিংকৃত কর্মী গুরুতর আহত হয়। বুলবুল  নির্বাচনী প্রচারণার বদলে এখন ধ্বংসাত্মক প্রচারণা শুরু করেছেন। শুধু ধ্বংসাত্মক প্রচারণা করেই তিনি ক্ষান্ত নন। তিনি হুমকি দিচ্ছেন সাধারণ জনগণকে। তার কর্মীরা বিভিন্ন ছোট ছোট  দলে বিভক্ত হয়ে এই হুমকির প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা নগরীর আর্থিক অস্বচ্ছল পরিবার গুলোকে ভিটেবাড়ি ভেঙে দেয়ার, পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে এখন জনসমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি সংসারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিকে খুন করার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে বুলবুলের আদেশে।
ভোট একটি দেশের নাগরিকের অন্যতম অধিকার। এমনকি ভোটার কাকে ভোট দিবে এটাও তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। জনসমর্থন হারানোতে বিএনপির বুলবুল এখন বিকারগ্রস্থ। এখন ভোটারদের তার দলে ভিড়াতে নানা রকম সন্ত্রাসী ও হুমকির পথ বেছে নিয়েছেন বুলবুল।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top