সেবা ডেস্ক: আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র করে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি-বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম জোট। উভয় দলই কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে বিএনপিকে উপেক্ষা করেই ভোটের লড়াইয়ে দু’দল নিজ নিজ প্রার্থী দিচ্ছে। ২৭ জুন সিসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম ঘোষণা দেয় বিএনপি। এর প্রেক্ষিতে জামায়াতের পক্ষে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জামায়াতের সিলেট মহানগর আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। যা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে বড় রকমের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি রংপুর, খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে হেরেছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। রংপুরে দলটির প্রার্থী ধানের শীষের পক্ষে আনতে পেরেছিল মাত্র ১০ হাজার ৬৫৫ ভোট। এমতাবস্থায় অনেক নেতা-কর্মীই বলছেন, যদি ঐক্যের ভিত্তিতে প্রার্থী না দেওয়া যায়, তবে সিলেট সিটি নির্বাচনেও জোটের প্রধান শরিক বিএনপির জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে জামায়াত স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলে সিলেটেও ডুবে যাবে ধানের শীষ।
মনোনয়নপত্র দাখিলই শেষ নয়, বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে ২৭ জুন বিকেলে অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের বৈঠকেও নিজেদের পৃথক অবস্থান নেওয়ার কথা বেশ শক্তভাবেই জানায় জামায়াত। বৈঠক শুরুর ১০ মিনিট পর বেরিয়েও যান জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম। যাওয়ার সময় তিনি বলেন, আমরা সিলেটে মেয়র পদে প্রার্থী দেবো। এটা বিএনপির মহাসচিবকে জানিয়ে দিয়েছি।
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার বিষয়টি জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে ভালো কথা। আমাদেরও প্রার্থী থাকবে। আমরা সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মেয়র প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে থাকবে’।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।