সেবা ডেস্ক: নদী মাতৃক দেশ বাংলাদেশ। দেশের নদীগুলোর মধ্যে তিস্তা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে বেশ কয়েক বার আলোচনা করার চেষ্টা করলেও এর কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। তিনি বাংলাদেশ সফরে তিস্তা বিষয়ে কথা বলতে খুব বেশি আগ্রহীও ছিলেন না। অবশেষে বরফ গলছে।
কিছু দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ফের আলোচনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিস্তার এই পানি বণ্টনকে ভারতের সমর্থন পাওয়ার জন্য হাতিয়ার হিসেবে নিচ্ছে বিএনপি। দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি কথা বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে। সেখানে তিনি দেশের মানুষের কথা চিন্তা না করে নিজ দলকে মুখ্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন যে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তার দাবি নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করবে তারা। তিস্তা চুক্তির সমঝোতা চাননা।
দেশের মানুষের নাকি তিস্তার পানিবণ্টনের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানান তিস্তার বিনিময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের বিএনপির সমর্থন যেন করা হয়।
রাজনীতি করা হয় সাধারণত দেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য, তাদের সুখ দুঃখের সাথী হওয়ার জন্য। রাজনীতিকেই সব থেকে গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয় যার মাধ্যমে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কাজ করা যায়।
কিন্তু বিএনপি দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি না করে তারা কি উদ্দেশ্যে রাজনীতি করতে চান এবং ক্ষমতায় আসতে চান তা কারোরই বোধগম্য নয়।
তারা তিস্তার বিনিময়ে ভারতের সমর্থন চাচ্ছেন। জনগণ যদি তাদের উপর আস্থা না রাখে , তাদের উপর ভরসা না করে ভোট না দেয় তাহলে ভারতের সমর্থনে বিএনপি কতটুকু লাভবান হবে তা দেখার বিষয়।