সেবা ডেস্ক: নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা আর উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে ২৬ জুন মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন৷ স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তাদের দলীয় দুই প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ায় জমে ওঠে এই নির্বাচন৷
বিশাল এলাকার এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি, শুধু একটি কেন্দ্র ছাড়া৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‘প্রথম পরীক্ষায় পাস করেছে সরকার৷”
অন্যদিকে বিএনপি বরাবরের মতো প্রশ্ন তুলেছে নির্বাচন নিয়ে৷ অনেকটা কাল্পনিক যুক্তি দেখালেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে যে গণজোয়ার দেখেছি টেলিভিশনে, তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷”
তবে মঙ্গলবার নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছিলো ভিন্নরূপ, গোলযোগ হওয়া ভোট কেন্দ্র ছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের সরব উপস্থিতি ছিল। এমনকি নেয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সাধারণ ভোটারের ভাষ্য ছিল, বিএনপি থাকাকালে গাজীপুর নগরবাসী সব রকমের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, মহানগরে দৃশ্যত কোনো কাজই হয়নি। তাই, তারা এইবার আর একই ভুল করেননি।
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রিটানিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি ৩৪ টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে সব গুলো কেন্দ্রে নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ সাথে তিনি জানান, সকালের পর থেকে ক্রমে ভোটারদের উপস্থিতি বেড়েছিল, এবং সকল ভোটার তাদের কাঙ্খিত প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে জয় লাভ করে মেয়র বলেন, আমার দলের সকল নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাই, আমার প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে সহযোগিতা চাইছি। বিশেষ করে বিএনপি একটি বড় দল, তারা যেন সহযোগিতা করে। এলাকার স্বার্থে জনগণের স্বার্থে তারা যেন বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা না করে। সবাই যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ পায়।
উল্লেখ্য, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং ঝামেলাহীন করতে দেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনের আগে থেকে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করেছিল তাদের দল-মত বিচার না করে গ্রেপ্তার করেছে এবং কড়া নজরদারিতে রেখেছে নির্বাচনী এলাকা। যা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে পারায় নির্বাচন কমিশন ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে দেশবাসীর কাছে।