রাজশাহীতে সাধারণ মানুষের মুখে লিটনের উন্নয়নের জয়গান

S M Ashraful Azom
রাজশাহীতে সাধারণ মানুষের মুখে লিটনের উন্নয়নের জয়গান

সেবা ডেস্ক: ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল বদলে যায় রাজশাহীর নগর চিত্র। সে সময় নগর পিতা ছিলেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নগর পিতা থাকাকালীন পাঁচ বছরে ঝকঝকে একটি ক্লিন সিটিতে রুপান্তর করে রাজশাহী নগরকে। দৃশ্যপট বদলে দেন পদ্মাপাড়ের। নির্মাণ করেন লালন শাহ মঞ্চ। বদলে যায় সাহেববাজার বড় মসজিদের চিত্র। বিনোদনের জন্য নতুন রুপ পায় রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানা ও উদ্যোন।

development in the eyes of the common people
নির্মাণ করা হয় বড় বড় রাস্তা, ড্রেন ও কালভাট এবং ফুটপাত। নির্মাণ করেন বর্জ্র ফেলার নির্দিষ্ঠ স্থান। বিশুদ্ধ পানি সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠা করে ওয়াসা। নগরে প্রতিষ্ঠা করেন শিশু হাসপাতাল। পাঁচ বছরের তিনি সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ নিয়ে এনে নগর উন্নয়নে কাজ করেন।

এছাড়াও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, হাইকেট পার্ক, বিকেএসপি, অর্থনৈতিক জোন নির্মাণের পরিকল্পনা করেন খায়রুজ্জামান লিটন। সেগুলো এখন বাস্তবায়নাধীন। তাই এবারের নির্বাচনে স্থান পেয়েছে ‘চলো আবারো বদলে দেই রাজশাহী’। এই স্লোগাকে সামনে রেখে ভোটের মাঠে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তাদের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাধারণ ভোটাররা। নিজের অবস্থান থেকেই তারাও নগর বদলে দেয়ার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।

নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কুমার পাড়া এলাকার রিকশাচালক রতন ঘোষ বলেন, ‘লিটন ভাই ছাড়া রাজশাহীতে অন্য কোন বিকল্প নেই। গোটা রাজশাহী নগরী লিটন ভাই কিভাবে বদলে দিয়েছে। এটা সবাই জানে। গত নির্বাচনে লিটন ভাইয়ের হার গোটা রাজশাহীর মানুষকে কতটা ভুগিয়েছে তা বলা যায় না। এবার লিটন ভাইকে আমরা নগর পিতা হিসেবে দেখবো।’

development in the eyes of the common people
নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অটোচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লিটন ভাইয়ের উন্নয়নের কথা নগরবাসী কিভাবে ভুলবে। এই পাঁচ বছর লিটন ভাই মেয়র না থাকায় আমাদের কি ক্ষতি হয়েছে তা আমরা ধাপে ধাপে টের পাচ্ছি। রাস্তাঘাটের কি অবস্থা, মশার কামড়, ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় দূগর্ন্ধ, নানা সমস্যায় নগরবাসী এখন জর্জারিত।’

তিনি বলেন, আমরা এসব দুর্ভোগ চাই না। লিটন ভাইকে আবারো নির্বাচনে জয়ী হয়ে গোটা রাজশাহীর চিত্র পাল্টে যাবে আমরা এটাই চাই।’

নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অটোচালক ভাদলু সরকার জানান, ‘আমাদের বিপদে আপনে যাকে পাই তিনিই আমাদের লিটন ভাই। আমরা অটোচালকরা যখন সমস্যায় পড়েছি লিটন ভাইয়ে কাছে গেলে খালি হাতে কেউ ফিরেনি। তিনি আমাদের সাথে থেকে সকল সময় আমাদের সঠিক দাবি আদায়ে সাহায্যে করেছেন।’

development in the eyes of the common people
নগরীর বিনোদপুর এলাকার রিকশাচালক অমৃত সরকার বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ যতদূর দেখেছি লিটন ভাই ছাড়া এই রাজশাহীতে উন্নয়ন থমকে গেছে। আমি সারারাত রিকশা চালাতাম। ঐ সময় গোটা শহর লালনীল বাতিতে এত সুন্দর লাগতো ক্লান্তি লাগলেই শহরে সুন্দর সুন্দর বাতির জন্য মন জুড়ে যেত। সারারাত নিরাপদে রিকশা চালাতাম।

নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাণীবাজার এলাকার অটোচালক বাবু জানান, ‘আমরা রাজশাহীবাসী এখন কি অবস্থায় রয়েছি তা সবার কাছে পরিষ্কার। কি পেলাম এই চারটি বছরে তা সবাই জানি। আমরা আর এভাবে থাকতে চাই না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই রাজশাহী আবারো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর। বাংলাদেশের সেরা নগরী হিসেবে পরিণত হোক। আমরা সেই প্রার্থীকে নির্বাচিত করবো যাকে দ্বারা গোটা নগরীর চিত্র পাল্টে যাবে। তাই সেরা প্রার্থী হিসেবে লিটন ভাইয়ের কোন বিকল্প নেই।’


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top