মাদকের গোল্ডেন ট্রানজিট বৃহত্তর চট্টগ্রাম

Seba Hot News
মাদকের গোল্ডেন ট্রানজিট বৃহত্তর চট্টগ্রাম
সেবা ডেস্ক: - মাদক পাচারের ক্ষেত্রে বৃহত্তর চট্টগ্রামকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করায় এ অঞ্চলে মাদকের বিস্তার রোধ কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে পুরোদমে শুরু হয় মাদক পাচার।খবর সময় টিভি চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার মধ্যে ৫টির জেলার সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত রয়েছে ভারতের আর দু’টি জেলার সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের। ভারত থেকে ফেনসিডিল আর মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়ে আসে বাংলাদেশে।

আশির দশক থেকেই বৃহত্তর চট্টগ্রাম মূলত বাংলাদেশে মাদক পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রথমদিকে কুমিল্লা ও ফেনী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসে হেরোইন। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাগাতার অভিযানের মুখে হেরোইন আসা কিছুটা কমলেও শুরু হয় ফেনসিডিল পাচার।

দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও এ রুট দিয়ে মাদক পাচার বন্ধ করা যায়নি। আর ২০০৭ সালের দিকে কক্সবাজার টেকনাফ এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িয়ে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটে ইয়াবার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর ড. ইমাম আলী বলেন, ‘মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং ভারতকে একত্রিত হতে হবে জিরো টলারেন্সের ভিত্তিতে।

আর বাংলাদেশ সরকারকে আরও শক্ত হতে হবে এই কারণে যে, বাংলাদেশ যেন মাদক পাচারের একটা ট্রানজিট না হয়।’
সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ উল হাসান বলেন, ‘চট্টগ্রামে এটা আসতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মজুদও থাকতো। এখান থেকে হয়তো বিভিন্নভাবে ভাগ হয়ে বাংলাদেশে যেত। র‍্যাব এবং আমরা বড় বড় অভিযান চালিয়েছি। ইদানীং সরকারের যে বিশেষ কার্যক্রম চলছে সেটার সঙ্গেও সিএমপি তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৮ সালে সারাদেশে মাত্র ৩৬ হাজার ইয়াবা ধরা পড়ে। ২০১৭ সালে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটিতে। মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখে। এ অবস্থায় মাদকদ্রব্যের পাচার ঠেকাতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী থানাগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি ড. এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কোনোভাবেই মাদক যেন দেশের ভেতরে প্রবেশ না করে সেজন্য সীমান্ত এলাকার থানাগুলোতে পুলিশ সেভাবে কাজ করে যাবে।’
বিগত ২০০৮ সাল থেকে গত ১০ বছরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে প্রায় ১০ কোটি পিস ইয়াবা। অধিকাংশ মাদক দ্রব্য উদ্ধার হয় কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top