মোঃ রুবেল আহমদ, দক্ষিন সুরমা থেকে ফিরেঃ দুই হাত অচল তার। লিখতে হয় পা দিয়ে। পড়ালেখায় আগ্রহ দেখে পরিবারের সদস্যরা তাকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। পা দিয়ে লিখে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। অদম্য এ মেধাবী শিক্ষার্থীর নাম আজিজুল হক। এবারও সে পায়ে লিখে এসএসসি পরিক্ষায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সৈয়দ কুতুবজালাল উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আজিজুলের বাড়ি দক্ষিণ সুরমার খালেরমুখ গ্রামে। মা-বাবা দুজনই শিক্ষক। তিন ভাই -বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। দুই হাত সরু হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারে না সে। তবে চলাফেরায় তার কোনো সমস্যা হয় না।
আজিজুলের বাবা ফজলুল হক জানান, পা দিয়ে দীর্ঘ সময় লিখতে গিয়ে প্রায়ই শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয় তার ছেলেকে। এ জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপাচার করলে আজিজুলের হাত সচল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু অার্থিক ভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল করিম জানান, ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত আজিজুলের ক্লাস রোল ছিল প্রথম এবং অত্যান্ত মেধাবী ছিলো।