সেবা ডেস্ক:
-কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রজ্ঞাপন দাবিতে আগামীকাল রোববার দেশের প্রতিটি
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের সংগঠন
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক, রাশেদ খাঁন, ফারুক হোসেন, বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।
কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে হাসান আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আগামীকাল সকাল ১১টায় সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল পালিত হবে এবং বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময় ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল করে দিয়েছেন। কিন্তু তার নির্দেশনা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। গেজেট বাস্তবায়নে কমিটির দরকার নেই। কিন্তু মন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের নামে আমাদের সাথে প্রহসন করছে। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে এই ছাত্রসমাজ তাদের অধিকার আদায়ে আবারো আন্দোলনে নামবে।
রাশেদ খাঁন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের হয়রানি না করার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কেন হয়রানি করছে? আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। গতকাল আমাদের সহযোদ্ধা জসিমউদ্দিনের বাড়িতে হামলা করেসে সন্ত্রাসীরা।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান যদি কোনো নির্দেশ দেয় তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো বাস্তবায়ন করবে কিন্তু এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। সচিবরা কমিটি গঠনের নামে ডাবল গেম খেলছে। আমরা বারবার বলছি আন্দোলনে যাব। আসলে আমরা আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার ব্যাপারে সময় দিচ্ছি।
এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রোববার থেকে ফের আন্দোলন শুরু হবে।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কার চেয়ে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা। গত ৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে সক্রিয় সমর্থন জানান।
পরে তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ঘোষণার আজ এক মাস পূর্ণ হলেও এখনও কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
সর্বশেষ ১০ মে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোজাম্মেল হক খান জানান, কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক, রাশেদ খাঁন, ফারুক হোসেন, বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।
কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে হাসান আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আগামীকাল সকাল ১১টায় সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল পালিত হবে এবং বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময় ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল করে দিয়েছেন। কিন্তু তার নির্দেশনা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। গেজেট বাস্তবায়নে কমিটির দরকার নেই। কিন্তু মন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের নামে আমাদের সাথে প্রহসন করছে। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে এই ছাত্রসমাজ তাদের অধিকার আদায়ে আবারো আন্দোলনে নামবে।
রাশেদ খাঁন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের হয়রানি না করার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কেন হয়রানি করছে? আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। গতকাল আমাদের সহযোদ্ধা জসিমউদ্দিনের বাড়িতে হামলা করেসে সন্ত্রাসীরা।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান যদি কোনো নির্দেশ দেয় তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো বাস্তবায়ন করবে কিন্তু এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। সচিবরা কমিটি গঠনের নামে ডাবল গেম খেলছে। আমরা বারবার বলছি আন্দোলনে যাব। আসলে আমরা আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার ব্যাপারে সময় দিচ্ছি।
এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রোববার থেকে ফের আন্দোলন শুরু হবে।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কার চেয়ে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা। গত ৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে সক্রিয় সমর্থন জানান।
পরে তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ঘোষণার আজ এক মাস পূর্ণ হলেও এখনও কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
সর্বশেষ ১০ মে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোজাম্মেল হক খান জানান, কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে।