সেবা ডেস্ক: -গাজীপুরের টঙ্গী এবং রাজধানী বংশাল এলাকা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় সানি রহমান (২৪) এবং তানজীল আহমেদ (২০) নামের দুই যুবকের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে র্যাব-৩ এর একটি দল তাদের গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত তানজীল আহমেদ ফেসবুকে ‘তানকীন আহমেদ তুষার’ নামে একটি ফেক একাউন্ট চালাতো। পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন সরবরাহ করবে বলে বিভিন্ন জনপ্রিয় গ্রুপে প্রচারণা চালাত এবং সদস্য সংগ্রহ করতো। গ্রুপেই চলতো প্রশ্ন দরদামের পালা। দরদাম ঠিক হলে তাজীল তার গোপন গ্রুপে অ্যাড করে নিত।
গ্রুপে অ্যাড করার পরে সে প্রর্থীদের নিকট হতে ‘০১৯৯৫৫৯৪৭৮৮’ বিকাশ নাম্বরের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতো। সে গত দুই বছর যাবৎ অর্থের বিনিময়ে এসএসসি, জেএসসি, পিএসসি, শিক্ষক নিবন্ধন, মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রশ্ন বিভিন্ন প্রর্থীর নিকট সরবরাহ করে আসছে। সে ‘Blood Donation’, ‘HipHop’,‘BD Lion’ নামের গ্রুপের মাধ্যমে এইসব করে থাকত।
এদিকে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার সানি ফেসবুকে ‘হাবিব হাসান’ (HABIB HASAN) নামে একটি ফেক আইডি ব্যবহার করতো। এটার মাধ্যমে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত প্রচারণা এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের নামে প্রতারণা চালাতেন।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়ার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতৎপরতা শুরু করেছে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র। প্রশ্ন ফাঁস রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানী তৎপরতা জানতে পেরে নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে প্রতারক চক্র।
প্রশ্ন ক্রয়ে আগ্রহী ব্যক্তি এইচএসসি পরীক্ষার্থী কিনা তা জানতে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণ করছে প্রশ্ন ফাঁসকারীরা। আর তাদের পাতা ফাঁদে এরই মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী ফেসবুকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও ব্যক্তিগত আইডিতে হস্তান্তর করেছে রেজিস্ট্রেশন কার্ড। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসায় ওইসব আইডির সত্ত্বাধিকারী এবং রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ভিত্তিতে এতে আগ্রহী পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাতিল করা হতে পারে।