আজ ঐতিহাসিক গন্ডামারা ট্রাজেডির ২ বছর পূর্ণ হলো
শিব্বির আহমেদ রানা: আজ ৪ এপ্রিল। ঐতিহাসিক গন্ডামারা ট্রাজেডির এক বছর পূর্ণ হল। বাঁশে নয় লাশে ভরা ছিলো বাঁশখালী। এই দিন সুবিধাভোগীদের খপ্পরে পড়ে চারটা প্রাণ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গন্ডামারার আকাশ ভারী হয়ে উঠেছিলো এইদিন। কি পেলো গন্ডামারাবাসী? কেবল প্রতারণা। সবাই যার যার পকেট নিয়ে ব্যস্ত। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো বরাবরের মতো দালালদের হাতের পুতুল। আজ গন্ডামারার মুজিব কেল্লায় মা বোনের অার্ত্মচিৎকারে ভারী হয়ে উঠে ছিলো। নেপথ্যে ছিলো কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
বাঁশখালীর রক্তাক্ত গণ্ডামারা ইউনিয়নের বিশেষ করে মুজিব কেল্লার পরিস্থিতি আজ ছিলো খুবই ভয়াবহ। সময়টা ছিলো ৪ এপ্রিল ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ। ঐদিন বিকালে স্থানীয় লোকজন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকলে এতে জমায়েত নিরীহ নিরস্ত্র জনতার বুকে পুলিশ ও কালো পোশাক পরিধানকারী বাঁশখালীর এস আলম গ্রুফের ভারাটিয়া কিছু দালাল সমাবেশকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালায়। এতে গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি প্রতিবাদকারী। নিহতরা হলেন- মর্তুজ আলী (৫০), আনোয়ার হোছেন (৪০), জাকের (৫০), বদিউল আলম। ৪জন গুলিবৃদ্ধ হয়ে জায়গায় মারা যায়।
৪ এপ্রিল সংঘটিত ঘটনায় নিহত মর্তুজা আলীর দুই স্ত্রীর ঘরে ৪ ছেলে ৬ মেয়ে রয়েছে। প্রথম ঘরের ছেলে মেয়েরা বড় হলেও দ্বিতীয় ঘরের ছেলে মেয়েরা এখনও ছোট। তার উপর মর্তুজা আলীর বড় মেয়ের জামাই জাকের আহমদও ওই ঘটনায় নিহত হন। তারও রয়েছে ৪ ছেলে। যাদের অধিকাংশের বয়স ৭ বছরের নিচে। অপরদিকে নিহত আনোয়ার ইসলাম প্রকাশ আঙ্গুরের ৩ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। একমাত্র ছেলে আরাফাতও সবার ছোট। অপরদিকে নিহত জাকের আহমদ এর ঘরে ৪ ছেলে ৪ মেয়ে রয়েছে। সবার পরিবারে প্রিয় মানুষ ও অভিবাবককে হারিয়ে এখন নেমে এসেছে অশনি সংকেত।