সেবা ডেস্ক: কোটা ব্যবস্থা সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকুরিপ্রার্থীদের বৈষম্যের শিকার করে এমন দাবি নিয়েই ছাত্র জনতার আন্দোলন ছিল কোটা সংস্কারের। কোটা ব্যবস্থার ওপর দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তে আপামর জনসাধারণ খুশি হলেও, এ সিদ্ধান্তকে ভুল বলে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আবারো ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাইছে বিএনপি।
১৯ এপ্রিল মির্জা ফখরুল বিএনপির এক সভায় বলেন কোটা প্রথা বাতিল করে নাকি সরকার ছাত্রদেরকে বঞ্চিত করেছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা তার বক্তব্যের পুরোপুরি উল্টো। কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তে আনন্দে আত্মহারা ছাত্ররা শেখ হাসিনাকে ভূষিত করে ‘মাদার অফ এডুকেশন’ উপাধিতে।
আরও পড়ুন>>কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে গুজব: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার থেকে সাবধান!
আন্দোলনকারীরা যদি অসন্তুষ্টই হতো তাহলে কেন তারা প্রধানমন্ত্রীকে এমন একটি উপাধি দিয়ে সম্মানিত করবে? শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে সম্মাননা প্রদর্শন ও আনন্দ মিছিল বের করার কর্মসূচিও গ্রহণ করে সাধারণ ছাত্ররা।
আরও পড়ুন>>বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের ১শত প্রভাবশালীর তালিকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দেয়ার অপচেষ্টা করেছিল বিএনপি। আর তাদের সমস্ত কু-কর্মকান্ডে জল ঢেলে দেবার কারণেই কি এমন যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছে তারা?
আরও পড়ুন>>তারেক জিয়াকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া
এ আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি চেয়েছিলো সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে। আর প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে আন্দোলন থেমে গেলে বিএনপির সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এছাড়া সমস্ত আন্দোলনকারীকে সরকার নিঃশর্তে ছেড়ে দিলেও, বিএনপি আন্দোলনকারীদের আটক নিয়ে মিথ্যাচার চালিয়ে ছাত্রদেরকে উত্তেজিত করার পাঁয়তারা করছে।
আরও পড়ুন>>আসছে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখবে সরকার
কোনোভাবেই সরকারকে যখন পরাস্ত করতে ব্যর্থ বিএনপি, অপপ্রচারই যেন হয়ে ওঠে তাদের শেষ অবলম্বন।