সেবা ডেস্ক:
-মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াট
সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। তিনি দেশে ফিরে এক
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, চুক্তি স্বাক্ষর হলেও প্রত্যাবাসনের জন্য
মিয়ানমারের দেওয়া আবেদনপত্র এখনো রোহিঙ্গাদের দেয়নি বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের শিখিয়ে-পড়িয়ে ১৩ দফা দাবি উত্থাপনের মতো ঘটনা ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশে।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পত্রিকাটি বাংলাদেশের সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। ইরাবতির খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধি দল গত ১১ থেকে ১৩ এপ্রিল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে। সেখানে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ থেকে দাবি করা হয়, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে। এতে
রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আবেদনপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু
রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কোনো আবেদনপত্র পায়নি। কেউ এই আবেদনপত্র
সম্পর্কে জানেন না।
বাংলাদেশ সফর নিয়ে গত বৃহস্পতিবার
ইয়াঙ্গুনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী উইন
মিয়াট বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও স্বীকার করেছেন, ওই
আবেদনপত্রগুলো প্রত্যাবাসনের আবেদনপত্র নয়, যেগুলোর বিষয়ে দুই দেশের সরকার
একমত হয়েছিল।
তারা স্বীকার করেছিলেন, তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া ফরমগুলো
প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের আবেদনপত্র নয়।উইন মিয়াট জানান, যথাযথ আবেদনপত্র
রোহিঙ্গাদের দিয়ে পূরণের পর সেগুলো মিয়ানমারের কাছে ফেরত দিতে বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তবে বাংলাদেশ কেন আবেদনপত্র রোহিঙ্গাদের দেয়নি—এমন প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেননি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।