ব্যক্তিগত পরিকল্পনায় বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
জানা যায়, সব দিক বিবেচনা করে বিদেশ চলে যাওয়াকে শ্রেয় মনে করলেও রাজনৈতিক অভিলাষ ছাড়তে পারেননি তিনি। গুরুতর অসুস্থতার গ্রাউন্ড তৈরি করে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তিনি চিকিৎসার জন্য মনোনীত হলে সরকার তার চিকিৎসা করাতে বাধ্য। যেহেতু তিনি সৌদি আরব ও ব্রিটেনে চিকিৎসা করান তাই প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যেকোন দেশে চলে যেতে পারেন। কিন্তু এখানেও রয়েছে তার মামার বাড়ির আবদার। আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় তিনি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশ যেতে চান না। তিনি চান মুক্ত হয়ে বিদেশ যেতে। আর এখানেই আপস রফা-দফার বিষয় নিহিত। তাই চলছে সমঝোতার চেষ্টা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বেগম জিয়া চাইছেন, তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বিদেশ গেলে এমনকি তার সব মামলার কার্যক্রম বন্ধ হলেও তিনি নির্বাচন করবেন না এবং বিদেশেই থাকবেন নির্বাচন পর্যন্ত। সূত্রমতে বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিকল্পনা হলো, নির্বাচনের পর তিনি দেশে আসবেন এবং বিএনপির যেকোন এমপির ছেড়ে দেওয়া আসনে উপ-নির্বাচন করে রাজনীতিতে ফিরে আসবেন। কিন্ত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বেগম জিয়া যদি আদালত কর্তৃক নির্বাচনের অযোগ্য হন তাহলে কীভাবে তাকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হবে?
জানা যায়, বিএনপির পক্ষ হতে যারা সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছেন তারা মনে করছেন কারাগার থেকে বেগম জিয়াকে বের করে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য। তাই প্যারোলে নয় বরং সরকারের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই তিনি বিদেশ যেতে চান।
কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আদালত বেগম জিয়াকে জামিনে বা প্যারোলে যে প্রক্রিয়াতেই বিদেশে যেতে দিক তাতে কোনো আপত্তি নেই, যদি তাতে আইনের ব্যত্যয় না ঘটে। মামলার কার্যক্রম আদালতের বিষয়। রাজনৈতিক সমঝোতায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ করতে রাজি নয় সরকার।
-
-