সেবা ডেস্ক:
- প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থার আয়োজন করেছে চীন সরকার।
এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নপত্রের
নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ বাহিনী সোয়াত মোতায়েন। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে
পরীক্ষা কেন্দ্র ও প্রশ্নপত্র পাহারা দেয় তারা।
কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি জিপিএসের মাধ্যমে ট্র্যাক করা হয়। পরীক্ষার হলে নকল প্রতিরোধে রয়েছে আরো কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোনো ছাত্র নকল করছে কিনা তা ধরতে মাথার উপরে ঘোরাফেরা করে ড্রোন।
এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশেও ঘোরাফেরা করে ড্রোন। কোনো রেডিও সিগন্যাল পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা সেটি সহজেই বুঝতে পারে ড্রোন।
প্রশ্নফাঁস রোধে টিআইবির ৯ সুপারিশ
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন টিআইবির রিসার্চ পরিচালক রফিকুল হাসান।
আজ সারা দেশে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষাকে সামনে রেখে জনসচেতনতার অংশ হিসেবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর আয়োজন করে।
মানববন্ধনে রফিকুল হাসান বলেন, আইনগতভাবে অনেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উল্লেখ থাকলেও যে মাত্রায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সে মাত্রায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দৃষ্টান্ত নেই।
অধিকাংশ সময়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিতরণের অভিযোগে শিক্ষক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী পর্যায়ের লোকদের শাস্তির উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। অথচ বাস্তবে ফাঁস-প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টজনেরা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থেকে যায়।
ফলে প্রশ্নফাঁস রোধে তা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
তিনি বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নের দীর্ঘ প্রক্রিয়া, সময়সাপেক্ষতা এবং এর সাথে অনেক ব্যক্তির সম্পৃক্ততার কারণে প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি বাড়ছে।
পাশাপাশি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের পড়াশোনার বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়ার পরিবর্তে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র সংগ্রহের এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন। যা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়েরই নামান্তর।
মানববন্ধন থেকে প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ৯টি সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)।
সুপারিশগুলো হলো- পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) (সংশোধন) আইন, ১৯৯২-এর ৪ ধারা পুনরায় সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা আগের মতো সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান প্রণয়ন এবং নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা; কোচিং সেন্টার নিষিদ্ধকরণে সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২-এর অস্পষ্টতা দূর করা
এবং কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা; প্রশ্নফাঁস রোধ ও সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গাইডবইয়ের আদলে প্রকাশিত সহায়ক গ্রন্থাবলি বন্ধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা; তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে তদারকি বাড়ানো ও প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি নিশ্চিত করা; ধাপ কমিয়ে প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও
বিতরণের কাজটি পরীক্ষামূলক ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা এবং পরবর্তীকালে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা; প্রশ্নফাঁস নিয়ে গঠিত যেকোনো তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; শিক্ষা ও পরীক্ষাপদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনাগত যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে
পর্যাপ্ত সময় দেয়া এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা; প্রশ্নফাঁস রোধে বহুনির্বাচনী প্রশ্নব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট রাখা।
কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি জিপিএসের মাধ্যমে ট্র্যাক করা হয়। পরীক্ষার হলে নকল প্রতিরোধে রয়েছে আরো কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোনো ছাত্র নকল করছে কিনা তা ধরতে মাথার উপরে ঘোরাফেরা করে ড্রোন।
এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশেও ঘোরাফেরা করে ড্রোন। কোনো রেডিও সিগন্যাল পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা সেটি সহজেই বুঝতে পারে ড্রোন।
প্রশ্নফাঁস রোধে টিআইবির ৯ সুপারিশ
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন টিআইবির রিসার্চ পরিচালক রফিকুল হাসান।
আজ সারা দেশে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষাকে সামনে রেখে জনসচেতনতার অংশ হিসেবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর আয়োজন করে।
মানববন্ধনে রফিকুল হাসান বলেন, আইনগতভাবে অনেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উল্লেখ থাকলেও যে মাত্রায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সে মাত্রায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দৃষ্টান্ত নেই।
অধিকাংশ সময়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিতরণের অভিযোগে শিক্ষক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী পর্যায়ের লোকদের শাস্তির উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। অথচ বাস্তবে ফাঁস-প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টজনেরা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থেকে যায়।
ফলে প্রশ্নফাঁস রোধে তা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
তিনি বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নের দীর্ঘ প্রক্রিয়া, সময়সাপেক্ষতা এবং এর সাথে অনেক ব্যক্তির সম্পৃক্ততার কারণে প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি বাড়ছে।
পাশাপাশি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের পড়াশোনার বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়ার পরিবর্তে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র সংগ্রহের এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন। যা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়েরই নামান্তর।
মানববন্ধন থেকে প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ৯টি সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)।
সুপারিশগুলো হলো- পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) (সংশোধন) আইন, ১৯৯২-এর ৪ ধারা পুনরায় সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা আগের মতো সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান প্রণয়ন এবং নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা; কোচিং সেন্টার নিষিদ্ধকরণে সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২-এর অস্পষ্টতা দূর করা
এবং কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা; প্রশ্নফাঁস রোধ ও সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গাইডবইয়ের আদলে প্রকাশিত সহায়ক গ্রন্থাবলি বন্ধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা; তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে তদারকি বাড়ানো ও প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি নিশ্চিত করা; ধাপ কমিয়ে প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও
বিতরণের কাজটি পরীক্ষামূলক ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা এবং পরবর্তীকালে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা; প্রশ্নফাঁস নিয়ে গঠিত যেকোনো তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; শিক্ষা ও পরীক্ষাপদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনাগত যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে
পর্যাপ্ত সময় দেয়া এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা; প্রশ্নফাঁস রোধে বহুনির্বাচনী প্রশ্নব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট রাখা।