বকশীগঞ্জে ৪৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য
সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ৯ টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের সংকটের কারণে বিদ্যালয় গুলোতে পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি আগামি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এর প্রভাব পড়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলায় জাতীয়করণ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মোট ১১০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এরমধ্যে ৪৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পদোন্নতি না থাকায় এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা যাচ্ছেনা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কোন কোন বিদ্যালয়ে অর্ধ যুগ সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। আবার কোন কোন বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে মান সম্মত শিক্ষা অর্জনে ব্যাঘাত ঘটছে।
যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সেসব বিদ্যালয় গুলো হলো- সাধুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠান্ডারবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাসিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধারার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধানুয়া কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যদুর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাজিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধাতুয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সারমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মদনেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলকিহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পাগলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলকিহারা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোয়ালগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেকের চর কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খামারিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝালরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চালাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালিরচর মন্ডল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাড়িয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ,উত্তর পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আইরমারী নতুন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পশ্চিম দত্তেরচর, সেকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকাউরিয়া খামার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পানাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুবের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আবদুল গণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফকির পাড়া ফারাজি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেরুরচর নতুন পাড়া তমিজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রিজিয়া সিদ্দিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াপাড়া নামাপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিনারচর উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালিরচর জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালুগাঁও কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিলাপাড়া কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলকিহারা ভাটি পাড়া কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আলীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে পাঠদান চলছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নেই সাত বছর ধরে । এরমধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে বাইরে গেলে বাড়তি চাপে পড়তে হয় অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদের।
এদিকে মদনের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , মাদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , কলকিহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , কলকিহারা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , সাজিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , ঠান্ডারবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও কুশলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো দুর্গম চরাঞ্চল ও নদী এলাকায় হওয়ায় বিদ্যালয় গুলোতে প্রধান শিক্ষকরা থাকতে চান না বলে অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে শূন্যপদ গুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
তবে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে বার বার জানানো হয়েছে।
-