গোলাপগঞ্জে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী কর্তৃক এক খামার উদ্যোক্তার উপর হামলার অভিযোগ
উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের শানকপুর গ্রামের মৃত সুলেমান মিয়ার পুত্র মাসুদ আহমদ গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন নিজ এলাকায় গরুর খামার গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যায় করে একটি টিনসেডের ঘর নির্মাণ করলে গত ১৭ মার্চ ভোরে প্রতিবেশী আবুল কাশেম মাছুমের পুত্র মারজান আহমদ (২১), মৃত জমির মিয়ার পুত্র আবুল কাশেম মাছুম (৪৫), নিমাদল গ্রামের আব্দুল মানিকের পুত্র জুয়েল আহমদ (২৮), সাহেদ আহমদ রুবেল (৪৭) সহ আরও বেশকজন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে তারা খামার থেকে প্রায় পৌনে ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এসময় মাসুদ আহমদ তার সম্পদ রক্ষা করতে এগিয়ে এলে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ ছাড়াও অপরিচিত বেশকজন লোক তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের বেশীরভাগই ভাড়াটিয়া ছিল বলে তিনি লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন। হামলকারীরা যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে তার ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে মর্মে তার কাছে প্রমাণ রয়েছে বলে দাবী করেন। ছবিগুলো তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে বলেন হামলাকারীরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত যখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে তার একটি হাত ভেঙ্গে দিলে তা তিনি সংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন মামলায় উল্লেখিত আসামি ছাড়াও যারা এঘটনায় অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে বাহির থেকে ভাড়া আনা হয়েছিল বলে তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তার ফ্রান্স প্রবাসী দেলওয়ার হোসেন সুইট দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশে ফিরলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে প্রতিপক্ষের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মাসুদ আহমদ বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয় (মামলা নং- ৯/৩৪ তাং- ২০/০৩/২০১৮ইং)। এসময় মাসুদ আহমদ ও তার পরিবার প্রতিপক্ষের হামলা-নির্যাতনের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।