আর নয় প্রশ্ন ফাঁস, স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হবে জাতি
সেবা ডেস্ক: ১৯৭১ এর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, তেমনি এই জাতিকে একটি যোগ্যতাহীন ও নেতৃত্বশূন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপহার দিতে একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করছে। কি ভয়াবহ! কি মারাত্মক এক ব্যাধিতে আক্রান্ত করছে দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। তাদেরকে প্রশ্ন ফাঁসের ভয়াবহতা থেকে বাঁচিয়ে সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে এখনই এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সকলের।
যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। কিন্তু শিক্ষিতের মাপকাঠি কি নির্ধারণ করবে পরীক্ষা নামক একটি ব্যবস্থা? পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু পরবর্তী শিক্ষা লাভের যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু আমাদের পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে ভালো রেজাল্ট মানেই মেধাবী শিক্ষার্থী। আর মেধাবী শিক্ষার্থীর এই তকমা লাগাতে অনেক শিক্ষার্থীই অসৎ উপায় অবলম্বন করছেন। যেহেতু একটি অসাধু লোভী চক্র কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করতে তৎপর আর কিছু শিক্ষার্থীরাও কথিত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে আগ্রহী তাই বেড়েছে প্রশ্ন ফাঁস বাণিজ্য।
আরও পড়ুনঃ এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গোপনে চলছে প্রশ্ন ফাঁস রোধ অভিযান
কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন কখনোই শিক্ষার উদ্দেশ্য হতে পারেনা। কারণ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। আর সরকার একটি সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে প্রশ্ন ফাঁসকারী ও প্রশ্ন সংগ্রহকারি পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গ্রহণ করেছে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা। আর তার সাথে সমাজের প্রতিটি ব্যক্তিকে রুখে দিতে হবে প্রশ্ন ফাঁসের এই বিভীষিকা ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হবার জন্যে।
-