সেবা ডেস্ক:
-রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ার উদ্যোগ নেই মিয়ানমারের গণহত্যা
রোধ বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং বলেছেন,
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমার কোনো
প্রচেষ্টা দেখায়নি। রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমে ফিরে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায় ও প্রভাবশালী দেশগুলোকে কাজ করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা
বলেন।
সরকারের
আমন্ত্রণে গত ৭ মার্চ বাংলাদেশে আসেন বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখা
ছিল তার সফরের উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন, ভারত ও
অন্যান্য প্রভাবশালী দেশকে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে হবে এবং নৈতিক নেতৃত্ব
দিতে হবে। আমি যা শুনেছি এবং দেখেছি তাতে এটা পরিষ্কার যে অধিকাংশ
রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান। তবে এক্ষেত্রে তারা নিরাপত্তা, সম্মান ও
মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা চান।
তিনি
বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সত্যিকারের
কোনো প্রচেষ্টা দেখায়নি। এখনো সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসছে
রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে আমরা আবারো ব্যর্থ হতে পারি না।
সমস্যার সমাধান মিয়ানমারের হাতে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদে ঘরে ফেরার
জন্য পরিবেশ তৈরি এবং অন্য নাগরিকদের মতো একই অধিকার দেওয়ার মাধ্যমেই তারা
এটা করতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরে গেলে রোহিঙ্গারা আরো
বেশি ঝুঁকিতে পড়বে।
গত
বছরের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে
সহিংসতা চালিয়েছে তা প্রতিরোধ যোগ্য ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
বালিতে মাথা গুঁজে ছিল। তাদের ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে জীবন,
সম্মান সব হারিয়ে মূল্য দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক
অপরাধ হয়েছে। অপরাধীদের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের
অস্তিত্ব মুছে দেওয়া। এটা প্রমাণ হলে গণহত্যার অপরাধই হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশে জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।