মোঃ রুবেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকেঃ সময়ের পালাবদলে ঋতুরাজ বসন্ত কড়া নেড়েছে দুয়ারে। বাড়ছে তাপমাত্রা। ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতির নিয়মে আমের গাছে গাছে এখন মুকুলের সবুজ সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় গাছে গাছে শুধু মুকুলের সমারোহ। তাপমাত্রা বাড়ায় গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের গাছে গাছে নানা ফুলের সঙ্গে মৌ মৌ সুভাস ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে নানা ফুলের সঙ্গে আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আকাশে বাতাসে মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা করে তুলেছে। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস নাড়া দিচ্ছে মানুষের হূদয়ে। বনফুল থেকে মৌমাছির দল গুণগুণ করে ভিড়তে শুরু করেছে এসব আমের মুকুলে। গাছের শাখার পর শাখায় মুকুলগুলো চারদিকে যেন বসন্তের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। গোলাপগঞ্জ সহ আশে পাশের উপজেলা গুলোতেও কম-বেশি দেখা দিয়েছে আমের মুকুল। তবে এবার একটু আগেই শীত কমে আসায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল এসেছে। এদিকে গাছে গাছে আগাম মুকুল আসায় বেজায় খুশি গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন। তারা আম গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যাও শুরু করে দিয়েছেন। মুকুলের মাথাগুলোকে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে।
গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ছত্রিশ গ্রামের চাষী আব্দুল হক (৪৮) প্রতিবেদককে বলেন, ‘এ বছরের আবহাওয়া আমের মুকুলের জন্য বেশ অনুকূল। তাই একটু আগে ভাগেই মুকুল এসেছে গাছে। গতবারের মতো এ মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়ার তেমন বিপর্যয়ও ঘটেনি। আশা করছি- ফাগুণের সাথে সাথে সব আম গাছ মুকুলে ভরে উঠবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আম গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না। তবে ছত্রাকজনিত রোগে আমের মুকুল ও গুটি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বাড়ীতে লাগানো আম গাছ গুলো দু’ দফা ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। এতে ছত্রাক জাতীয় রোগ থেকে আমের মুকুলগুলো রক্ষা পাবে। সেই সাথে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।