শুক্রবার (২৩ মার্চ) সকালে নগরীর সার্কিট হাউজে এসব ভ্যানগাড়ি ভিক্ষুকদের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ উদ্যোগ নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যম হিসেবে হাতে ভ্যান গাড়ি তুলে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাঁশখালী পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ। সেটিকে এগিয়ে আনতে হবে। পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে যে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন, তা সত্যিই অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয়।
মুজিবুর রহমান সি.আইপি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। বাঁশখালীর যেসব ভিক্ষুক রয়েছে সবগুলোকে প্রশাসনের উদ্যোগে আমি পুনর্বাসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমধাপে ৫০ জনকে সহযোগিতা করেছি। আজ দ্বিতীয় ধাপে আরো ৫০ জনের হাতে ভ্যানগাড়ি তুলে দিয়েছি। বাকিদেরকেও পর্যায়ক্রমে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, সিআইপি মুজিবুর রহমানের অর্থায়নে ভিক্ষুকদের যে ভ্যানগাড়ি দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এছাড়াও মুজিবুর রহমানের পোশাক শিল্পে বাঁশখালীর ২০ হাজারেরও বেশি কর্মচারি চাকরি করছেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় এডিএম মো. মাশহুদুল কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু সৈয়দ, বাঁশখালীর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -