সেবা ডেস্ক: - শ্রীলংকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ও সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
সহিংসতার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার ১০ দিনের জন্য এই জরুরি অবস্থা জারি করেছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একজন নিহত ও মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় শহর ক্যান্ডিতে সোমবার স্থানীয় কারফিউ জারি করা হয়।
পুলিশ জানায়, সোমবার ক্যান্ডি জেলায় সপ্তাহব্যাপী দাঙ্গা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ রাষ্ট্রজুড়ে সহিংসতা ছড়াচ্ছে। অতীতেও শ্রীলঙ্কার জাতিগত দাঙ্গা মারাত্মকরূপ ধারণ করেছে। দেশটিতে মোট দুই কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মুসলিম।
যেখানে ৭৫ শতাংশ বৌদ্ধ ও ১৩ শতাংশ হিন্দু জনগোষ্ঠী রয়েছে। অনেক পর্যবেক্ষক বদু বেলা সেনা (বিবিএস) নামে বৌদ্ধদের একটি কট্টরপন্থি বৌদ্ধ গ্রুপকে এই দাঙ্গার জন্য দায়ী করেছন।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে একই ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ৫ জন নিহত হন। এছাড়া অনেক দোকানপাট ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২০১৪ সালের জুনে আলাউথগামা দাঙ্গার পর মুসলিম বিরোধী প্রচারণা শুরু হয়।
কিছু কট্টরপন্থি বৌদ্ধ দল মুসলিম সম্প্রদায়কে ইসলামে রূপান্তরিত করার এবং বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলিকে ভাঙার জন্য বাধ্য করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
২০১৫ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ক্ষমতায় আসার পর মুসলিম বিরোধী অপরাধের তদন্তের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তবে এক্ষেত্রে কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির খবর জানা যায়নি।
আল জাজিরা।