খাদ্য অধিদপ্তরে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এ কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের খাদ্যশস্য মজুদ আছে ১৪ লাখ ২০ হাজার মে.টন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪০ হাজার মে.টন চাল এবং বাকীটা গম।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য একটি কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন। কর্মসূচির নাম ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’।
এই কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা করে (প্রতি কেজি) প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এই পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচির আওতায় একটি স্লোগান ঠিক করা আছেÑ ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’। তিনি বলেন, এই কর্মসূচীর জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মে.টন চাল দরকার হবে।
খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, সকলের সহযোগিতায় আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে অর্জন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মে.টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মিডিয়ার দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যাযের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তাগন।
সূত্র: বাসস