জলকদর খালে বাংলাবাজার ব্রীজের সংস্কারকাজে অনিয়ম চলছে
|
স্থাণীয় ও প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থাণীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধিনে জি.ও.বি ফান্ড হতে বাংলাবাজার ব্রীজ সংস্কারের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা টেন্ডার পক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হয়। টেন্ডার পক্রিয়ায় পার্শ্ববর্তী উপজেলা চকরিয়ার হাকিম এন্ড ব্রাদার্স ব্রীজ সংস্কারের ঠিকাদারী কাজ পায়। তবে হাকিম এন্ড ব্রাদার্স নিজে কাজ না করে স্থাণীয় ফয়জুল কবির চৌধুরী মেহেদী ও তার ভাই ফজলুল কবির ব্রীজ সংস্কারের কাজ সাফ ঠিকাদারীতে নেয়। মূল ঠিকাদার কাজ না করায় স্থাণীয় ব্যক্তি দিয়ে কাজ করার ফলে যার দরুণ এলাকাবাসী এদূর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে স্থাণীয়রা।
গত ১৫ দিন পূর্বে ব্রীজের পুরাতন পাঠাতন খুলে ফেললেও নতুন পাঠাতন না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সংস্কার কাজ বন্ধ রেখেছে। যার ফলে ঐ এলাকায় বসবাসকারী মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত রাতের আঁধারে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রী সাধারণ দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। গন্ডামারা-বড়গুনার সাথে উপজেলার বাংলাবাজার-চাম্বলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কারণে সাধারণ যাত্রী সহ রোগীদের পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় যন্ত্রণা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূইয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। তবে অফিস সূত্রে জানা যায় প্রকৌশলী দেশের বাড়ীতে ছুটিতে রয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কি কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে শীঘ্রই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জনদূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে গন্ডামারা ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আলী হায়দার চৌধুরী আসিফ বলেন, দীর্ঘদিন ব্রীজ সংস্কারের নামে পাটাতন খুলে রাখায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।তাছাড়া স্কুল-কলেজগামী ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত জীবন বাজি রেখে এ ব্রীজ পাড়ি দিচ্ছে পাশাপাশি ব্রীজ সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ
কামনা করেছেন বলে তিনি জানান।