জানা গেছে, ১৯৭২ সালে বকশীগঞ্জ কিয়ামত উল্লাহ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৯ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হলে ওই কলেজে ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়। সেখানে পাঁচটি কক্ষে ১০ জন ছাত্র থাকার ব্যবস্থা ছিল। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রাবাসটি ভালই চলছিল। সারাদেশে কলেজ গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপে ডিগ্রি কলেজ গুলোতে ছাত্রাবাস গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ছাত্রহীন হয়ে পড়ে ছাত্রাবাস গুলো । তখন থেকেই শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ শুরু হয়। দিন দিন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও ১৮ বছরেও নতুন করে ছাত্রাবাসটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয় নি।
বর্তমানে ছাত্রাবাস টি বেহাল ও অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছাত্রাবাসটি জরাজীর্ণ হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । ছাত্রাবাসটির সামনে ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে।
বকশীগঞ্জের সরকারি এই কলেজটিতে একাদশ, দ্বাদশ ও ডিগ্রি (¯œাতক) সহ দুই হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এই কলেজে রাজিবপুর উপজেলা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা , পাররামরামপুর ইউনিয়নের অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি রয়েছে। এমনকি ইসলামপুর উপজেলার শিক্ষার্থীরাও ভর্তি রয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রতিদিন ১৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ক্লাস করতে হয় আমাকে। যদি ছাত্রাবাস থাকত তাহলে সময় এবং শ্রম দুটোই কমে আসত।
ছাত্রাবাস না থাকায় দূর-দূরান্তের ছাত্রদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে মেসে থাকতে হচ্ছে । যারা মেসে থাকতে পারছেন না তারা যানবাহনে করে ক্লাস করতে হচ্ছে। একারণে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন । অনেক গরিব শিক্ষার্থী আবার সপ্তাতে দুইদিন বা তিন দিন ক্লাস করছেন বলেও জানা গেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি , পুরানো ছাত্রাবাস টি ভেঙে দ্বিতল ভবন করে নতুন করে ছাত্রাবাস করা হলে গরিব শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন। এতে শ্রম ও অর্থ দুটোই রক্ষা করা সম্ভব। একারণে কলেজের কর্তৃপক্ষকে গুরত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। কলেজের শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে।
বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রাবাসের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক পরিষদে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। প্রয়োজনে অধিদপ্তরে বরাদ্দ চাওয়া হবে।