
জানা গেছে, গত চার দিন ধরে আধাবেলা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না পাহাড়ি এলাকা হিসেবে পরিচিত বকশীগঞ্জ উপজেলায়। উত্তরে গারো পাহাড়ের হিমেল হাওয়া ও পশ্চিমে দশানী ও ব্রহ্মপুত্রে নদের ঠান্ডা বাতাসে মানুষ ঝিমিয়ে পড়েছে।
কন কনে শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কাজে যেতে পারছে না। শীত হতে রক্ষা পেতে খড় খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে এই এলাকার মানুষ।
কন কনে শীত ও প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগের পাদুর্ভাব হয়েছে। শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগের সংখ্যা বাড়ছে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ।
বিশেষ করে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের গারো পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ চরম বেকায়দায় রয়েছেন। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র ও দশানী নদীর তীরের মানুষ গুলো ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বুরহান উদ্দিন জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে দুই হাজার ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই হাজার ৮০০ কম্বল পাওয়া গেছে এবং পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, আমার এলাকার নদী তীরবর্তী মানুষ শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন।
সরকারিভাবে যতগুলো কম্বল দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল । তিনি কম্বলের বরাদ্দ বাড়াতে সরকারের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জেহাদ জানান, তার ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। এরমধ্যে ২২ হাজার মানুষ হতদরিদ্র রয়েছে।
যাদের সরকারের সহযোগিতায় চলতে হয়। পিআইও অফিস থেকে বরাদ্দ পাওয়া ১৩০ টি কম্বল পেয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি আরো বরাদ্দ দিতে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এদিকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশন) মোখলেসুর রহমান তার নিজ এলাকা বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় কয়েক হাজার কম্বল বিতরণ করেছেন।
বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার ইতোমধ্যে সাড়ে চার শ কম্বল বিতরণ করেছেন।