সেবা ডেস্ক:জামালপুরের বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে শিক্ষা কার্যক্রমে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে এই সরকারি কলেজের কার্যক্রম।
সঠিক তদারকি ও দেখভাল না করায় দিন দিন অবনতি হচ্ছে পরীক্ষার ফলাফল। ফলে মান সম্মত শিক্ষা অর্জনে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছে না শিক্ষার্থী।
তবে কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করা ও সরকারের সুনজর এলে ফলাফল সহ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আর এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে বকশীগঞ্জ কিয়ামত উল্লাহ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৮৯ সালে কলেজটি জাতীয়করণ হয়। এরপর থেকেই কলেজে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে। শিক্ষক সংকট , শিক্ষকদের আবাসন সংকট, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বসার জায়গার অভাব সহ নানা সমস্যা লেগেই আছে কলেজটিতে।
১৯৮৯ সালে জাতীয়করণের পর শুধুুমাত্র একটি পদে সহকারী অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে অদ্যাবধি কোন পদ সৃষ্টি হয় নি। বর্তমানে ১২ টি বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র ইসলামের ইতিহাস বিভাগে একজন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন।
বাকি ১১ টি বিভাগে সহকারী অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করা সম্ভব হয় নি। এ কারণে প্রতি বছরই শিক্ষক সংকটের মধ্য দিয়ে পাঠদান চলে আসছে ।
১৯৮৩ সালে গঠিত এনাম কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজে একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক ও দুইজন করে প্রভাষক থাকার কথা ।
কিন্তু পদ সৃষ্টির অভাবে এই কলেজে প্রতিটি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক তো দূরের কথা অনেক বিভাগে একজন করে প্রভাষক পদেও শূন্য রয়েছে।
বর্তমানে কয়েকটি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পদ সৃষ্টি না হওয়ায় চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে শিক্ষকদের মধ্যে । ফলে সিনিয়র জুনিয়র মানা না মানা নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব রয়েছে।
অপরদিকে এই কলেজে আরো নানা সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে একাডেমিক ভবন ও পরীক্ষা ভবন না থাকায় বছরের প্রায় সাত মাস বিভিন্ন পাবলিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা থাকার কারণে পাঠদানে ব্যাপক ব্যাহত হয়।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি কলেজে একটি পরীক্ষা ভবন থাকলে এই সমস্যা হতো না । তারা সারা বছর ক্লাস করতে পারতেন। এছাড়াও কিছু সমস্যার কারণে এই কলেজের শিক্ষকরা দ্রুত বদলি হয়ে চলে যান।
কলেজের শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষকদের মান সম্মত ডরমেটরি না থাকায় তাদের পরিবার নিয়ে থাকা হয় না । পানি সংকট ও পরিবেশের সমস্যা থাকায় বাধ্য হয়েই তারা বদলি হয়ে চলে যান।
কলেজ প্রতিষ্ঠার চার দশক পার হলেও সৃষ্টি হয়নি উপাধ্যক্ষের পদ। কলেজের জনৈক প্রভাষক জানান, উপাধ্যক্ষের আগে সহকারী অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করা জুরুরী।
যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়ভাবে প্রতিটি সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ সৃষ্টির ঘোষণা দিলেও সঠিক তদবিরের অভাবে তা এই কলেজে পারা যাচ্ছে না।
বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও নেই কোনো ছাত্রাবাস।
এ কারণে দূরদূরান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালভাবে পাঠদান করতে পারেন না। এই কলেজের শিক্ষার মান বৃদ্ধি, ফলাফল আশাবঞ্ছ্যক করতে হলে স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ জুরুরী।
শিক্ষকদের আবাসন সংকট দূর করা, শিক্ষক সংকট দূরা ও পদ সৃষ্টি হলে পাল্টে যাবে সরকারি এই কলেজের চেহারা। উন্নতি হবে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মান ।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, এই কলেজে সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদ সৃষ্টির বিকল্প নেই।
এ জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য যদি জনপ্রশাসন মন্ত্রী , শিক্ষা মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে পারেন তাহলে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
সঠিক তদারকি ও দেখভাল না করায় দিন দিন অবনতি হচ্ছে পরীক্ষার ফলাফল। ফলে মান সম্মত শিক্ষা অর্জনে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছে না শিক্ষার্থী।
তবে কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করা ও সরকারের সুনজর এলে ফলাফল সহ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আর এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে বকশীগঞ্জ কিয়ামত উল্লাহ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৮৯ সালে কলেজটি জাতীয়করণ হয়। এরপর থেকেই কলেজে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে। শিক্ষক সংকট , শিক্ষকদের আবাসন সংকট, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বসার জায়গার অভাব সহ নানা সমস্যা লেগেই আছে কলেজটিতে।
১৯৮৯ সালে জাতীয়করণের পর শুধুুমাত্র একটি পদে সহকারী অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে অদ্যাবধি কোন পদ সৃষ্টি হয় নি। বর্তমানে ১২ টি বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র ইসলামের ইতিহাস বিভাগে একজন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন।
বাকি ১১ টি বিভাগে সহকারী অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করা সম্ভব হয় নি। এ কারণে প্রতি বছরই শিক্ষক সংকটের মধ্য দিয়ে পাঠদান চলে আসছে ।
১৯৮৩ সালে গঠিত এনাম কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজে একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক ও দুইজন করে প্রভাষক থাকার কথা ।
কিন্তু পদ সৃষ্টির অভাবে এই কলেজে প্রতিটি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক তো দূরের কথা অনেক বিভাগে একজন করে প্রভাষক পদেও শূন্য রয়েছে।
বর্তমানে কয়েকটি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পদ সৃষ্টি না হওয়ায় চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে শিক্ষকদের মধ্যে । ফলে সিনিয়র জুনিয়র মানা না মানা নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব রয়েছে।
অপরদিকে এই কলেজে আরো নানা সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে একাডেমিক ভবন ও পরীক্ষা ভবন না থাকায় বছরের প্রায় সাত মাস বিভিন্ন পাবলিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা থাকার কারণে পাঠদানে ব্যাপক ব্যাহত হয়।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি কলেজে একটি পরীক্ষা ভবন থাকলে এই সমস্যা হতো না । তারা সারা বছর ক্লাস করতে পারতেন। এছাড়াও কিছু সমস্যার কারণে এই কলেজের শিক্ষকরা দ্রুত বদলি হয়ে চলে যান।
কলেজের শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষকদের মান সম্মত ডরমেটরি না থাকায় তাদের পরিবার নিয়ে থাকা হয় না । পানি সংকট ও পরিবেশের সমস্যা থাকায় বাধ্য হয়েই তারা বদলি হয়ে চলে যান।
কলেজ প্রতিষ্ঠার চার দশক পার হলেও সৃষ্টি হয়নি উপাধ্যক্ষের পদ। কলেজের জনৈক প্রভাষক জানান, উপাধ্যক্ষের আগে সহকারী অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করা জুরুরী।
যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়ভাবে প্রতিটি সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ সৃষ্টির ঘোষণা দিলেও সঠিক তদবিরের অভাবে তা এই কলেজে পারা যাচ্ছে না।
বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও নেই কোনো ছাত্রাবাস।
এ কারণে দূরদূরান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালভাবে পাঠদান করতে পারেন না। এই কলেজের শিক্ষার মান বৃদ্ধি, ফলাফল আশাবঞ্ছ্যক করতে হলে স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ জুরুরী।
শিক্ষকদের আবাসন সংকট দূর করা, শিক্ষক সংকট দূরা ও পদ সৃষ্টি হলে পাল্টে যাবে সরকারি এই কলেজের চেহারা। উন্নতি হবে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মান ।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, এই কলেজে সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদ সৃষ্টির বিকল্প নেই।
এ জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য যদি জনপ্রশাসন মন্ত্রী , শিক্ষা মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে পারেন তাহলে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।