গোলাপ খন্দকার, নওগাঁ প্রতিনিধি: “হয় জাতীয়করণ না হয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করবে শিক্ষক নেতারা” এমন হুশিয়ারীর পেক্ষিকে সারা দেশের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে জাতীয়করণের ১১ দফা দাবিতে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন করেছে, ক্লাস বর্জন কর্মসূচী ২৭ই জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে, এতে করে কমলমতী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যেমন বিপাকে পড়েছে তেমনি পড়েছে ভোগান্তিতে।
জানা গেছে, দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ, স্বীকৃতি প্রাপ্ত বেসরকারী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে এমপিওভুক্তকরণ সহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের সামনে ভির করে হট্টগোল করছে।ঘন্টার বেলের সময় পার হয়ে চলে যাচ্ছে তবুও ঘন্টার বেলের কোন শব্দ কানে শোনা গেল না।
শিক্ষার্থীরা যেন ডানামেলে মাঠের আনাচে কানাচে ছুটে চলেছে কে শোনে কার কথা,তাদের ছুটে চলা যেন অবিরাম।কমলমতী শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন তালা বন্ধ তাদের বিদ্যালয়ে আর কেনই বা ক্লাস রুমে ঢুকতে পারতেছেনা।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী সাথে কথা হলে তারা জানান, এরকম করে প্রতিদিন ক্লাস বন্ধ থাকলে আমাদের লেখা পড়ার অনের ঘাটতি হবে।আমরা অনেকটা পিছিয়ে পড়ে যাবো অনেক দিন ধরে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের আন্দোলনে আমাদের বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক অংশগ্রহন করেছে এতে করে সে শিক্ষকের ক্লাস থেকেও বঞ্চিত হয়েছি সে স্যারের ঘন্টাটি ফ্রি থাকে কোন ক্লাস হয়না এতে আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষক দের আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিয়ে,আমাদের রক্ষা করুন।
আমরাই আগামী দিনের ভবিৎত আমরা বিদ্যালয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য এসেছি শিক্ষকদের সকল দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরিয়ে দিন আমরা ক্লাস করতে চাই।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান দেশের উন্নয়নের ও বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ কে জানান দিতে শিক্ষকের অবদান অনেক কেননা যারা দেশ পরিচালনা করেন তাদের কে আমরা শিক্ষা দান দেই এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শিক্ষকের অবদান ছিন অপরিসীম দেশ স্বাধীনে যদি আমরা আমাদের সবোর্চ্চ উজার করে দেশকে স্বাধীন করেছি স্বাধীনের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেলাম আমরা।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথমেই শিক্ষকদের প্রাণের দাবী ন্যার্য দাবী জাতীয়করণের দাবী মেনে নিতে হবে।নতুবা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন কমিটির যে সিদ্ধান্ত আসবে আমরা তা পালন করবো অথবা এস এস সি পরীক্ষাও বর্জন করবো।
সরকারের উদ্যোশে শিক্ষকেরা বলেন আপনিও কোন শিক্ষকের আদর্শে গড়া সু প্রতিষ্ঠ সফল প্রধানমন্ত্রী কেউ আমাদের দুঃখ কষ্ট না বুঝলেও আপনি বুঝবেন শিক্ষকের মর্যাদা ও কষ্টের কথা তাই আর দেরি না করে অতিবিলম্বে আমাদের প্রাণের দাবিটি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরিয়ে দিন।