বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্পিকার, আইনসচিব, ক্যাবিনেট সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, নোটিশ জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি ঘোষিত তফসিল বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করবেন তিনি।
নোটিশে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. আব্দুল হামিদ বর্তমান সংসদের দ্বারা দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
সেই হিসেবে তার মেয়াদ চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল পূর্ণ হবে। কিন্তু সংবিধানের ৫০(১) এ বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার উত্তরাধিকারী-কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।’
আবার সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ক্ষেত্রমত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা রাষ্ট্রপতি পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করিবেন।’
এ ছাড়া সংবিধানের ১২৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, যে সংসদের দ্বারা তিনি নির্বাচিত হইয়াছেন সেই সংসদের মেয়াদকালে রাষ্ট্রপতির কার্যকাল শেষ হইলে সংসদের
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ শূন্য পদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে না এবং অনুরূপ সাধারণ
নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির শূন্য পদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘সংবিধানের এসব অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ
করে যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ৩১, ৫০, ৫৪ অনুচ্ছেদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তাই ঘোষিত তফসিল বাতিলযোগ্য
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।