ফেসবুকে নজরদারি বাড়াতে আইএসএস যন্ত্র কেনা হচ্ছে

Unknown
সেবা ডেস্ক: তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজরদারি শক্তিশালী করতে ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন (আইএসএস) কেনার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও আপলোড, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়া, গুজব ছড়ানোসহ হয়রানি বন্ধে নিয়মমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে আরো দক্ষ ও সমর্থ করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম এবং ফিরোজা বেগম (চিনু) এর পৃথক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী তিনি আরো জানান, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও আপলোড, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়া, গুজব ছড়ানোসহ হয়রানি বন্ধে নিয়মমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। বিটিআরসির ওয়েবসাইটের পোর্টাল, ২টি ই-মেইল, এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, ফেসবুক এবং ওয়েসাইট সম্পর্কিত অভিযোগ নেওয়া হয় এবং তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি মোবাইল  ফোন কম্পানি টেলিটকের লোকসান পুঞ্জিভুত হতে হতে ৩৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সব মোবাইল কোম্পানি যেখানে লাভ করছে, সেখানে টেলিটক কেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না তা আমার বোধগম্য নয়। আমি দায়িত্ব নিয়ে দেখছি টেলিটক গত ১০ বছরে শুধু লোকসান দিচ্ছে। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিটককে লোকসানের হাত থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করাতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এটাকে নতুন ভাবে বাজারজাত করা হবে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি ডাকঘরেও টেলিটকের একটি করে সার্ভিস সেন্টার খোলার সুপারিশ করা হয়েছে। এসময় তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে টেলিটক শুধু ব্যবসার করার জন্য আসেনি। এটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তারপরেও আমাদেও চেষ্টা আছে টেলিটককে নিজের পায়ে দাঁড় করানো। আশা করি আমরা সেটা পারবো।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহারের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সরকার তথ্য প্রযুক্তি প্রসারের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনের ধারণাপত্র ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে এবং দরপত্র আহবানের কার্যক্রম চলছে। মন্ত্রী জানান, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের মাধ্যমে কম্পিউটার অথবা ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত করা হয় এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া ও মুছে ফেলা তথ্য পুনরুদ্ধার করা যায়। ল্যাবে ডিজিটাল তথ্যের বিশ্লেষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মূল্যায়ণের মাধ্যমে আদালতের গ্রহণযোগ্য উপাত্ত নির্ণয় করা হয়। কোন ডিজিটাল অপরাধ সংঘটিত হলে এই ল্যাবের মাধ্যমে অপরাধের সূত্রপাত ও ঘটনা প্রবাহ উদঘাটন করা সম্ভব। 
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top