মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয়ের পথে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি)। দলের প্রধান অং সান সুচি দলের সাফল্যকে 'গণতন্ত্রের জাগরণ' বলে অভিহিত করেছেন। মিয়ানমারবাসী সরকারি ফলের জন্য 'অধির অপেক্ষায়' রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী এনএলডি ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫ টিতে জয় পেয়েছে। ৭০ শতাংশ প্রার্থীর জয়ের আশা করছেন তারা। আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এনএলডিকে ৬৭ শতাংশ আসন পেতে হবে। এনএলডির মুখপাত্র জানিয়েছেন তারা মোট ভোটের ৮০ শতাংশ পাওয়ার ব্যপারে আশাবাদী।
ভোটের পর ইয়াঙ্গুনে দলের কার্যালয়ে ঢুকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাসিমুখে হাত নেড়ে নেতাক কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান সুচি। এসময় করতালি আর স্লোগানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান উপস্থিত নেতাকর্মীরা। গত রাত থেকেই সেখানে উতসব করতে দেখা যায় তাদের।
সোমবার সকালে ইয়াংগুনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেতদের উদ্দেশ্যে সুচি বলেন, 'নির্বাচনের ভোটযুদ্ধ শেষ হয়েছে। এতে জনগণ যেভাবে জেগে উঠে, তাতে গণতন্ত্রের জাগরণ ঘটেছে। এনএলডি মিয়ানমারবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। এটা যেমন সুখবর। তেমনি দ্রুত সরকারি ফলাফল ঘোষণা হবে, এটাও প্রত্যাশা করছে দেশবাসী। এখনো নির্বাচনের সরকারি ফলাফল ঘোষণা হয়নি। তারপরও কী ঘটতে যাচ্ছে- তা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে।'
সোমবার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা উ থিন ওকে ধন্যবাদ জানান। ধারণা করা হচ্ছে, ৮৮ বছর বয়সী সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী উ থিনকেই প্রেসিডেন্ট করতে পারেন সু চি। তিনি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অবশ্য দল জয় পেলেও বিদেশিকে বিয়ে করায় বর্তমান আইন অনুযায়ী মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না সু চি। দেশটির ৪৪০ আসনের পার্লামেন্টের ১১০টি আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত থাকছে।
বর্তমান পার্লামেন্টের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারি। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সূত্র: বিবিসি