রাতের বেলা গরম ভাবটা থাকলেও ভোরের দিকে একটু একটু শীত অনুভূত হয়। পুরোদমে শীত আসতে আরও কিছুদিন বাকি। এই সময়ে শরীর থেকে এই ক্লান্তি আর অবসাদ ঝেড়ে ফেলার মোক্ষম অস্ত্র কিন্তু ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম দেহ-মনকে যেমন চাঙা রাখে, শীতটাও করে উপভোগ্য। শীতের সময়টায় নিজের শরীরটাকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন বনি আমিন
শরীর সুস্থ তো মনটাও হবে ফুরফুরে। আপনি চাইলে বাসাতেই হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস করতে পারেন। আর ব্যায়ামাগারে গিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে আরও ভালো হয়। হালকা শীতের এই সময়ে ব্যায়াম করার সময় সুতির ফুলহাতা টি-শার্ট পরা ভালো, সঙ্গে ট্রাউজার। ব্যায়ামের সময় কেডস পরে নিন। শরীর উষ্ণ রেখে ব্যায়ামের উপযোগী রাখবে এগুলো। ব্যায়ামাগারে আসার আগে শরীরে অলিভ অয়েল মেখে নিলে শরীর উষ্ণ হবে তাড়াতাড়ি। সঙ্গে জলের বোতল আর তোয়ালে। বোতলে অল্প চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। ব্যায়ামাগারে শারীরিক পরিশ্রমে শরীর থেকে যে ক্যালরি হারাবে, তার খানিকটা পুষিয়ে দেবে চিনি। নিয়মিত যারা ব্যায়াম করেন, তাদের জল খেতে হবে প্রচুর। ব্যায়াম শেষে স্টিম বাথ নেওয়া যেতে পারে, এতে লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর হবে। ব্যায়ামাগারে এসে যারা মেদ ঝরাতে চান তাদের মনে হবে, খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না কখনোই। সকালে ব্যায়ামাগারে যাওয়ার আগে দুটি কলা, সঙ্গে একটি রুটি রাখতে পারেন। ফিরে এসে চারটি কলা, দুটি শসা, দুটি রুটি, সঙ্গে লেবু। দুপুরে এক কাপ ভাত, মাছ ও সবজি ইচ্ছেমতো। রাতে রুটি চারটি, একটি গোল আলু অথবা মিষ্টি আলু ও সবজি। আর যারা ব্যায়ামাগারে আসেন স্বাস্থ্য ফেরাতে তাদের বেলায়—ব্যায়ামাগারে ঢোকার আগে চারটি কলা, বড় রুটি দুটি। ফিরে এসে চারটি ডিমের সাদা অংশ, এক গ্লাস দুধ, সঙ্গে মুরগির মাংস ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। দুপুরে এক কাপ ভাত, সবজি, মুরগির মাংস ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ও ডাল। রাতে এক কাপ ভাত, দুটি ডিমের সাদা অংশ, মুরগির মাংস ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ও এক গ্লাস দুধ। ফিটনেস এক্সপার্ট ববি বলেন, ‘ব্যায়ামে শরীরের শক্তি ক্ষয় হয়, তাই দেহের চাহিদা পূরণে এ ধরনের সুষম খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দেহের গঠন অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় কখনো কিছুটা হেরফেরও হয়।’ শীতে শরীরের মাংসপেশিগুলোও জমাট বেঁধে থাকে কখনো কখনো। এজন্য একদিকে মানুষ যেমন কাজের গতি হারায়, তেমনি দেহকোষেও আলস্য ভর করে। কিন্তু শীতেই মানুষের শরীরে শক্তি সঞ্চিত থাকে বেশি। তাই চাইলে বেশি সময় ধরে শরীর গঠনে মনোযোগী হওয়া যায় এ শীতকালেই।