নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত সাত খুনের মামলার আসামি নূর হোসেনকে হস্তান্তর করেছে ভারত। দুই দেশের সরকারের মধ্যে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নিলে বৃহস্পতিবার ভারত নূর হোসেনকে হস্তান্তর করে।
নূর হোসেনকে ভারতের কাছ থেকে হস্তগত করতে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান হাতে লাইফ জ্যাকেট-হেলমেট নিয়ে এগিয়ে গেলেন নোম্যান্স লান্ডে। কিছুক্ষণ আগে ভারতীয় চেকপোস্টে এসে দাঁড়িয়েছে একটি মারুতি ভ্যান। আবছা আলোয় দেখা যাচ্ছিল সেখানে অপেক্ষমাণ ৫/৬ জনের বিএসএফ সদস্য। আগে থেকে বাংলাদেশ নোম্যান্স ল্যান্ডের কিছু আগে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রংয়ের মাইক্রোবাস নির্দেশ পেয়ে দ্রুত এগিয়ে যায় নোম্যান্স ল্যান্ডের দিকে। মিডিয়া কর্মীরা ক্যামেরা তাক করে আছে গাড়িটি লক্ষ্য করে। হঠাৎ নোম্যান্স ল্যান্ডের দুই শ গজ দক্ষিণে রেল লাইনের ওপর জ্বলে ওঠে টর্চের আলো। দেখা যায় ১০/১২ জন লোক রেল রাইন ধরে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে।
সংবাদ কর্মীরা এ দৃশ্য দেখে ক্যামেরা হাতে ছুটে চলে রেল লাইনের দিকে। আর এ সুযোগেই নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে ডিবি পুলিশ ভর্তি মাইক্রোবাসটি দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায় যশোরের দিকে। গড়িটিকে পিছু ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি সংবাদকর্মীরা।
এ দিকে বেনাপোলের ছোট আচড়া মোড়ে এসে দেখা যায় অন্য রকম এক দৃশ্য। এ সময় বাই পাশ সড়ক ধরে ৫/৬ টি পাজেরো গাড়ি নিরাপওায় ছুটে আসছিল বেনাপোল সড়কে। গোলকধাঁধায় পড়ে সংবাদ কর্মীরা।
নূর হোসেনকে বেনাপোল দিয়ে আনা হচ্ছে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন বিকেল পাঁচটা থেকে সংবাদ কর্মীরা জড়ো হতে থাকে বেনাপোল চেকপোস্টে। গোটা চেকপোস্ট এলাকা তখন নিচ্ছিদ্র নিরাপওার চাদরে মোড়ানো। পোশাকধারী ডিবি পুলিশ এবং থানা পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা গোটা এলাকা নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
এ সময় যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, বিজিবির উপ অধিনায়ক লিয়াকত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ. সালামসহ বেনাপোল পোর্ট থানা, ইমিগ্রেশন এবং ডিবির ওসিকে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়। বারবার জিজ্ঞাসা সত্ত্বেও তারা কোনো তথ্যই সরবরাহ করেনি সংবাদ কর্মীদের।