ঘুচল ঐশীর বয়স নিয়ে বিভ্রান্তিও

Unknown
সেবা ডেস্ক: বাবা-মা হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটেছে ঐশী রহমানের বয়স বিভ্রান্তি। ঘটনার সময় অনেকে ঐশীর বয়স ১৬ বা তার কম এমন কি ঐশীকে ‘নাবালক’ দাবি করলেও আজ আদালত তার পর্যবেক্ষণে ঐশীকে সাবালক বলে মন্তব্য করেছেন। 
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে আজ বৃহস্পতিবার ‘ডাবল’ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ রায় ঘোষণার সময় বলেছেন, ‘যেখানে শিশু ও নারী নির্যাতন দমনের পক্ষে আমাকে রায় দিতে হয় সেখানে উল্টো রথে এসে আজ এই মামলায় আমাকে রায় দিতে হচ্ছে। এটা আমার জন্য কঠিন।’
পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ‘আমি বয়সের চিন্তা করেছি। এবং তার (ঐশীর) প্রকৃত বয়স পেয়ে গেছি। ২০১৩ সালের শিশু আইন অনুসারেই তার বয়স ধরা হয়েছে। আমার পর্যবেক্ষণে ঘটনার সময় তিনি সাবালক হিসেবে এসেছেন।’
তবে তখন ঐশীর বয়স কত ছিল সে বিষয়ে আদালত স্পষ্ট কিছু বলেননি।
এদিকে রায় ঘোষণা শেষে ঐশীর প্রধান আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা সাংবাদিকদের জানান, বয়স নির্ণয়ের জন্য যে ছয়টি এক্সরে করতে হয় আদালত তার মধ্যে দুইটি এক্সরে সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া আদালত আমাদের দাখিলকৃত বয়স প্রমাণের বিভিন্ন সার্টিফিকেট আমলে নেননি। ঐশী এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন। আমরাও সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যার ঘটনার সময় তাদের মেয়ে ঐশীর বয়স কত ছিল এ নিয়ে তখন থেকেই বিভ্রান্তি ও বিতর্ক চলে আসছিল। তবে সেই সময় তার বয়স নির্ণয়ের বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা বলেছিলেন, মেডিকেল পরীক্ষায় ঐশীর বয়স ১৮ বছরের বেশি (এবোভ ১৮) বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সে বছরের ১ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ থেকে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়। 
সে সময় পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ঐশীকে যে শিশু বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। খুলনায় ঐশীর জন্ম নেয়া বেসরকারি এক ক্লিনিকের কাগজপত্র সংগ্রহ করে পুলিশ। ১৯৭৪ সালের শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী ১৬ বছর পর্যন্ত শিশু। ঐশীর বয়স ১৬ বছরের বেশি। আর নতুন করা শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়ন হয় সে বছরের ২১ আগস্ট। ঘটনা ঘটেছে ১৬ আগস্ট। যেহেতু নতুন শিশু আইন বাস্তবায়নের আগে যত ঘটনা ঘটেছে তা আগের আইনের আওতায়ই পড়বে সেহেতু ঐশীর বয়স ১৬ বছরের বেশি হলেই তাকে আর শিশু বলার কোনো সুযোগ ছিল না।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top