ভারতের অনানুষ্ঠানিক অবরোধের কারণে জ্বালানি সংকটে পড়েছে নেপাল। ফলে প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ থেকে জ্বালানি আমদানির চেষ্টা করছে দেশটি। এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি আমদানির সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে।
১১ নভেম্বর বুধবার কাঠমান্ডু পোস্টের অনলাইনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি আমদানি করতে এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ চীনের প্রতিষ্ঠান পেট্রোচাইনার সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নেপাল অয়েল করপোরেশন (এনওসি)। জ্বালানি আমদানি করতে আরো উৎস খোঁজা হচ্ছে।
এনওসির মুখপাত্র মুকুন্দ ঘিমিরে বলেছেন, ‘জ্বালানি তেলের সন্ধানে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আসবে। তাঁরা তেল আমদানির সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করবেন।’
ভারত সীমান্তে বীরগঞ্জে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয়র মৃত্যুর ঘটনার পর এক সপ্তাহ ধরে কোনো জ্বালানির চালান নেপালে পৌঁছেনি বলে এনওসি জানিয়েছে।
তবে নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ কাউকে উদ্দেশ করে গুলি ছোড়েনি। বিক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছলে, আক্রমণ চললে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে ওই ভারতীয় নিরপরাধ ছিল বলে ভারত দাবি করেছে।
এনওসি জানিয়েছে, তাদের কাছে খুব অল্পই জ্বালানি তেলের মজুদ রয়েছে। তা দিয়ে আর বেশি সময় সরকারি ও বেসরকারি গাড়ির জ্বালানির চাহিদা মেটানো যাবে না। সরকার ও জরুরি প্রয়োজনে তারা পেট্রল সরবরাহ করছে।
এনওসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোপাল বাহাদুর খাদকা বলেন, তাঁদের কাছে এক হাজার ৩০০ কিলোলিটার পেট্রল ছিল। এর মধ্যে ৬২৫ কিলোলিটার পেট্রল এরই মধ্যে সরবরাহ করে ফেলেছে। তারা চীন থেকে পেট্রল আনছে। তবে কাঠমান্ডু-রসুওয়াগাধি সড়কপথে জ্বলানি পরিবহন করতে চাইছে না ট্যাংকার চালকরা। ফলে অন্য নিকটতম উৎস বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি আমদানির চেষ্টা করা হচ্ছে।