পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও খালাসের রায় শুনে কাঁদলেন ঐশী আর হাসলেন তার বন্ধু আসাদুজ্জামান রনি ।
বৃহস্পতিবার বিচারক উন্মুক্ত আদালতে ঐশীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিলে ঐশী রহমান আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আদালতে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। পুলিশের সদস্যরা ঐশীকে আদালতের গারদখানায় নিয়ে যান। অপরদিকে মামলা থেকে খালাসের আদেশের পর আনন্দে মা ফাতেমা আক্তার রেনুর গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি।
আসামির কাঠগড়ায় হাতকড়া পরানো জনি ধারণা করেছিলেন তাকেও ঐশীর মতো শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ জনির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে না পারায় আদালত খালাস দেন তাকে। রায়ের পর আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে চলে গেছেন জনি।
বৃহস্পতিবার বিচারক উন্মুক্ত আদালতে ঐশীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিলে ঐশী রহমান আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আদালতে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। পুলিশের সদস্যরা ঐশীকে আদালতের গারদখানায় নিয়ে যান। অপরদিকে মামলা থেকে খালাসের আদেশের পর আনন্দে মা ফাতেমা আক্তার রেনুর গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি।
আসামির কাঠগড়ায় হাতকড়া পরানো জনি ধারণা করেছিলেন তাকেও ঐশীর মতো শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ জনির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে না পারায় আদালত খালাস দেন তাকে। রায়ের পর আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে চলে গেছেন জনি।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ঐশীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করবেন।
এই মামলায় রায় পড়ার আগে বেকসুর খালাস পাবেন এমন প্রত্যাশা করেছিলেন মামলার প্রধান আসামি ঐশী রহমান।
আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নির্বাক দৃষ্টিতে বিচারকের দিকে তাকিয়ে ছিলেন ঐশী। মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন তার রায়। বিচারকের রায় পড়া শেষ না হতেই অঝোরে কেঁদে ফেললেন ঐশী। এ সময় তার পাশে থাকা নারী পুলিশ সদস্যরা তার চোখ মুছে দেন।
রায় শোনার পর ঐশী তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। ঐশী তার আইনজীবীদের জানিয়েছেন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
ঐশীর আইনজীবী মাহবুবুর রহমান রানা বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর জানতে চাইলে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঐশীকে আদালতে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের।
পরে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিন পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী।